11 November 2023 , 5:20:17 প্রিন্ট সংস্করণ
আমাদের সমাজে বিয়ের আগে বর-কনেকে বেশ কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়। এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হলো বিয়ে দুজনের মধ্যেই নয় বরং দুই পরিবারের মধ্যে ভালো সম্পর্ক তৈরি করে।
এ সময় বর-কনে উভয়ের সামান্য ভুল-ভ্রান্তির কারণে দুই পরিবারে ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে। আবার ভুল বোঝাবুঝির কারণে বিয়ে ভেঙেও যেতে পারে।
তাই বিয়ের আগে বর-কনের উচিত নিজেদের প্রতি নিয়ন্ত্রণ রাখা ও প্রতিটি পদক্ষেপ বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে নেওয়া। ঠিক এমনই কয়েকটি কাজ আছে, যা বিয়ের আগের দিন বা রাতে বর-কনের করা উচিত নয়।
বিষয়গুলো সামান্য ভাবলেও এসব ভুলের কারণে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতে পারে, এমনকি বিয়ে ভেঙে পর্যন্ত যেতে পারে।
তো এবার কোন কোন কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন জেনে রাখুন-
> মদপান করা বা নেশাগ্রস্ত হওয়া: বিয়ের আগের রাতে অনেক পুরুষই এখন ব্যাচেলর পার্টি করেন। নারীরাও এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। বন্ধু বা বান্ধবীদের সঙ্গে নিয়ে এ পার্টির আয়োজন করেন বর বা কনে।
এমন ক্ষেত্রে অনেকেই মজার ছলে মদপান করেন কিংবা জেনে-বুঝেই নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এ ধরনের কর্মকাণ্ড কিন্তু বিয়ের আগের রাতে ভুলেও করবেন না।
দুর্ভাগ্যবশত হবু শ্বশুরবাড়ির কোনো সদস্য এ বিষয়ে জানলে বিয়েতে কুপ্রভাব পড়তে পারে। এমনকি আপনার ব্যক্তিত্বও নষ্ট হতে পারে। তাই এ ধরনের অঘটনের আগে বারবার ভাবুন ও সতর্ক থাকুন।
> প্রাক্তনকে কল করা: প্রাক্তন প্রেমিক বা প্রেমিকার সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কীভাবে শেষ হয়েছে তা বিবেচ্য নয়। তবে বিয়ের আগের রাতে তাকে ফোন করার বোকামি করবেন না।
এতে আপনিই বিপদে পড়বেন! এটি কেবল ভুল নয় বরং আপনার বিবাহিত জীবনকেও প্রভাবিত করতে পারে। বিয়ের আগের রাতে এমনিতেই মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন বর-কনে। এর মধ্যে অতীত নিয়ে ভাবলে আপনি দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়বেন।আর আবেগের বশে নেওয়া কোনো সিদ্ধান্তই ভালো হয় না। তাই ভুলেও প্রাক্তনকে বিয়ের আগের রাতে কল করবেন না।
> বাজেট নিয়ে হবু সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলা: বিয়ের বাজেট বা আয়োজন সম্পর্কিত কোনো বিষয়ই হবু সঙ্গীর সঙ্গে শেয়ার করবেন না। নিজ পরিবারের ভাবমূর্তি রক্ষায় এ বিষয় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।
কারণ কথোপকথনের সময়, হবু স্বামী বা স্ত্রীর আপনার কোনো কথায় খারাপ লাগতেই পারে! যার কারণে বিয়ের দিন তার মেজাজ খারাপ থাকতে পারে। তাই বিয়ের আগের দিন বুঝে-শুনে তবেই কথা বলুন।
অভিযোগ এড়িয়ে চলুন: বিয়েবাড়িতে অনেক মানুষের সমাগম ঘটে। আর এক জায়গায় অনেক মানুষ থাকলে তাদের মধ্যে মতভেদ বা বিভিন্ন বিষয়ে ঝামেলা হতেই পারে। এ পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ছোট বিষয়ে অভিযোগ না করা বা কারও কথায় বেশি গুরুত্ব দিয়ে অশান্তি না করা।
এই একটি কারণে শুধু আপনার নয় আপনার পরিবারের সদস্যদেরও মেজাজ খারাপ হয়ে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে সবারই মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রেখে বুদ্ধিমানের মতো কাজ করা উচিত।