Uncategorized

শেখ হাসিনার অধীনে সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই বললেন নাহিদ ইসলাম

ক্ষমতায় থাকাকালে, বিশেষ করে সম্প্রতি ছাত্রজনতার প্রতিবাদ বিক্ষোভকালে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে তার জন্য পদত্যাগ করে পালানো শেখ হাসিনার বিচার চান ছাত্রনেতা ও বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।বর্তমানে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা।

তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বাংলাদেশে নির্বাচন ঘোষণা হলেই তিনি ভারত থেকে দেশে ফিরবেন। বাংলাদেশে প্রধান বিরোধীরা আগামী তিন মাসের মধ্যে এই নির্বাচন দাবি করেছে।এ বিষয়ে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, তিনি (হাসিনা) কেন দেশ থেকে পালালেন তা জানার কৌতুহল আছে আমার।

৮ আগস্ট উপদেষ্টা হিসেবে নতুন অন্তর্বর্তী সরকারে যোগ দেওয়ার পর শুক্রবার (৯ আগস্ট) দেওয়া প্রথম সাক্ষাৎকারে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা বলেন তিনি।নাহিদ বলেন, তার (শেখ হাসিনা) অধীনে সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার চাই আমরা। আমাদের বিপ্লবের অন্যতম প্রধান দাবি ছিল এটা। এমনকি তিনি যদি দেশে ফিরে না আসেন তাহলেও আমরা এ বিষয়ে কাজ করব।

আমি চাই তাকে গ্রেফতার করা হোক। সেটা হতে পারে নিয়মিত বিচারিক ব্যবস্থায় অথবা বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে। এ বিষয়ে কিভাবে কাজ করা যায় তা নিয়ে আমরা আলোচনা করছি।ওদিকে ছাত্র আন্দোলনের আরেক নেতা আবু বকর মজুমদার আলাদাভাবে রয়টার্সকে বলেছেন, তারা চান শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে বিচারের মুখোমুখি দাঁড়ান।

উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার হলো একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা এবং ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সন্দেহজনক দুর্নীতির তদন্ত করা। এর আগের নির্বাচন বিরোধীদের বর্জনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।তিনি আরও বলেন, যে কোনা নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে ইলোকটোরাল এবং সাংবিধানিক সংস্কার প্রয়োজন।

 

ফলে কখন নতুন নির্বাচন হবে তা এখনই পরিষ্কার নয়। এক্ষেত্রে তিনি সুনির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি কি একদিন প্রধানমন্ত্রী হতে চান কিনা? এ প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, আমার আকাঙ্ক্ষা কি হবে তা নির্ভর করে বাংলাদেশের জনগণের ওপর।তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করেছে ভারত।

 

তারা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে এই সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করেনি। আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই। ভারতের উচিত তাদের পররাষ্ট্রনীতির দিকে তাকানো। তা নাহলে তারা পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।