10 July 2024 , 3:07:47 প্রিন্ট সংস্করণ
কর্তব্যনিষ্ঠা-সততা ও শুদ্ধাচার কর্মকৌশল পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ঠাকুরগাঁও জেলা কমান্ড্যান্ট মো. মিনহাজ আরেফিন শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন। বাহিনীটির সদর দপ্তরের এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এছাড়াও ঠাকুরগাঁও জেলায় আরো দুইজন কর্মকর্তা এ সম্মাননা পেয়েছেন। তাঁরা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন।তাঁরা হলেন-জেলা আনসার কার্যালয়ের সার্কেল এ্যাডজুট্যান্ট সেলিনা পারভিন ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা সাহারা বানু।
বুধবার (১০ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও জেলা কমান্ড্যান্ট মো. মিনহাজ আরেফিন।বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরের উপ-পরিচালক (জেনারেল) ও ফোকাল পয়েন্ট (শুদ্ধাচার কৌশল) মো. আশরাফুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক ক্রোড়পত্রে শুদ্ধাচার পুরষ্কার প্রাপ্তদের তালিকা ঘোষণা করেন।আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মোট ২৮৫ জন্য শুদ্ধাচার পুরষ্কার প্রাপ্তদের মধ্যে রংপুর বিভাগের মধ্যে শুধু ঠাকুরগাঁও জেলা কমান্ড্যান্ট মো. মিনহাজ আরেফিন এই পুরস্কার অর্জন করেছেন।
মিনহাজ আরেফিনকে ১০টি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।যেমন- ১, সততা ও নৈতিকতা ২, সেবা গ্রহীতাদের সেবা প্রদান ৩, পেশাগত দক্ষতা ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার (ই-নথি, সার্ভিস ইত্যাদি) ৪, অধীনস্থ কর্মচারীদের তত্ত্বাবধান ও পরিবীক্ষণ ৫, দলগত কাজে সমন্বয় ৬, সময়ানুবর্তিতা ও শৃঙ্খলাবোধ ৭, বার্ষিক কর্ম সম্পাদনা চুক্তি এবং শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে তৎপরতা ৮, কর্তব্যনিষ্ঠা ও স্ব-প্রণোদিত উদ্যোগ ৯, উদ্ভাবন ও সংস্কার কার্যক্রমে আগ্রহ ১০, ঊর্ধ্বতন ও কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন।
মো. মিনহাজ আরেফিন ২০১৬ সালে ৩৪তম বিসিএস (আনসার) ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে সহকারী পরিচালক পদে কর্মজীবন শুরু করেন। পর্যায়ক্রমে দিনাজপুরে সহকারী জেলা কমান্ড্যান্ট, ২৩ আনসার ব্যাটালিয়ন, দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক ও অধিনায়ক (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপরে পদোন্নতি পেয়ে জেলা কমান্ড্যান্ট হিসেবে জয়পুরহাট এবং বর্তমানে বাহিনীটির ঠাকুরগাঁও দপ্তরে জেলা কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।জানা গেছে, তিনি এ জেলায় যোগদানের পর বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আওতাভুক্ত শুদ্ধাচার কর্মকৌশল পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
বাহিনীর সকল পদবীর সদস্যদের শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখা, তাদের কল্যাণ নিশ্চিত করণ, অফিস ব্যবস্থাপনা ও কর্মস্থলের যথাযথ পরিবেশ বজায় রাখতে অগ্রনী ভূমিকা পালন করছেন। জেলা কার্যালয়ের পাশাপাশি উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয় সমূহের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম ও হরিপুর উপজেলার গৃহহীন ভিডিপি সদস্যদের গৃহ নির্মাণের কাজ করছেন।আরো জানা যায়, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তর ও রেঞ্জ দপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা মোতাবেক এই কর্মকর্তার সার্বিক তত্ত্ববধানে এ অর্থবছরে দুর্গাপূজা, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা দায়িত্বসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা দায়িত্বে ঠাকুরগাঁও জেলার প্রায় ১৫০০০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করেছেন।
পুরস্কার পেয়ে মিনহাজ আরেফিন বলেন, প্রতি অর্থবছরে শুদ্ধাচার কর্মকৌশল পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ওপর শুদ্ধাচার পদক দেওয়া হয়ে থাকে। এবার রংপুর বিভাগের মধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলা কমান্ড্যান্ট হিসেবে প্রথমবারের মতো আমি মনোনীত হয়েছি। এতে আমি আনন্দিত। এটি আমার কর্মজীবনে একটি বড় পাওয়া। এমন পদক আগামীতে আমার কর্মজীবনে আরো শুদ্ধাচার চর্চায় অনুপ্রাণিত করবে।তিনি আরো বলেন, এ জেলায় আনসারের আরো দু’জন কর্মকর্তা শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন। আমি মনে করি এ অর্জন ঠাকুরগাঁও আনসার ও ভিডিপি’র সকল পর্যায়ের সদস্যদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে উজ্জীবিত করবে।