নাতি ছেলে রিফাতের বিয়েতে গেলাম রাজবাড়ি। কুমারখালী থেকে মধুমতি অন্তনগর ট্রেনে। বরযাত্রিরা পাংশা থেকে আসবে মাইক্রোবাসে। আমি আগেই বাজবাড়িতে চলে এসেছি। রাজবাড়ি শহরের অদূরেই বরবকদিয়া গ্রাম। পথে দাঁড়িয়ে না থেকে আগে-ভাগেই পৌঁছে গেলাম কনে বাড়িতে। বাড়ির সামনে রিক্সা থেকে নামছি এমন সময় দেখতে পেলাম চার পাঁচজন মেয়ে কনেকে সাজিয়ে বাড়ির পথে নামছে। আমাকে দেখে তারা দাঁড়ালো। আমি কনেকে জিজ্ঞাসা করলাম- তুমি কী রিফাতের বউ ?
কনে বউ হাসতে হাসতে বললো, এখনও বউ হইনি। রিফাত আসলে তিনবার কবুল বললে তারপর বউ হবো। আপনার পরিচয় বলবেন ?
আমি রিফাতের নানা।
কনে বউ বললো, নানা ভাই আসেন আসেন ।
আমি সামনে যেয়ে বললাম, বাহ! তোমাকে দেখতে ঠিক রাজবাড়ির রাজ কন্যার মতো লাগছে।
প্রশংসা শুনে হাসলো সবাই। কনের বান্ধবী একজন বললো, আয় হিরা নানার সাথে তোর একটা ছবি তুলে দিই।
আমি বললাম -রিফাত আসুক তারপর——-
ওরা শুনলো না। দাঁড়িয়ে গেল পাশে।
রাজবাড়ির রাজকন্যা বলে কথা।
রাজা সূর্য কুমারের রাজবাড়ির অবস্থাত সূর্যনগরে। রাজা সূর্য কুমারের রাজবাড়ির নাম অনুসারে রাজবাড়ির জেলার নামকরণ হতে পারে। সেই রাজবাড়িতে এখন আর কোনো রাজ কন্যাদের বসবাস নেই। কিন্তু জেলা জুড়ে আছে অনেক সহজ-সরল রাজ কন্যর বসবাস।