22 May 2024 , 12:49:43 প্রিন্ট সংস্করণ
শিশুর মানসিক বিকাশ হয় ৬ থেকে ৯ বছর পর্যন্ত। আর মস্তিষ্কের বিকাশ সর্বোচ্চ মাত্রায় হয় ৬ বছর পর্যন্ত। ৯ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত শিশুর শরীরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসে। অর্থাৎ একটি শিশুর বড় হতে বেশ কিছু ধাপ অতিক্রম করতে হয়।
আর এসব ধাপ ভালোভাবে অতিক্রম করতে শিশুর দরকার স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাবার। আর পুডিংয়ে রয়েছে এ দুটিই। তাই শিশুকে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাবার দিতে রোজকার রুটিং পাতে রাখুন পুডিং।
পুডিংয়ে যেসব পুষ্টি উপাদান মেলে
ডিম ও দুধ দিয়ে তৈরি পুডিং কমবেশি সব শিশুই খেতে পছন্দ করে। শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে পুডিং আদর্শ পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার। মানুষের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে প্রয়োজনীয় সব খাদ্য উপাদান পুডিংয়ে থাকে।
৫০০ গ্রামের একটি পুডিং বানাতে এক লিটার সরবিহীন দুধ ফুটিয়ে আধা লিটার করে নিতে হয়। এর সঙ্গে দুই থেকে তিনটি ডিম এবং প্রয়োজনমতো চিনি ও অন্যান্য উপাদান যোগ করে পুডিং বানালে সেই পুডিংয়ের প্রতি ১০০ গ্রামে মিলবে—
ক্যালরি: ১৬০ থেকে ১৭৫ কিলোক্যালরি
শর্করা: ২০ গ্রাম
প্রোটিন: ১১ গ্রাম
ফ্যাট: ৬ গ্রাম (এর মধ্যে অসম্পৃক্ত ফ্যাট প্রায় ২ দশমিক ৫ গ্রাম)
সোডিয়াম: ১৮০ মিলিগ্রাম
আরো পড়ুন : ব্যস্ততা সামলে সন্তানকে সময় দেবেন যেভাবে
পটাশিয়াম: ২৮৫ মিলিগ্রাম
ফাইবার (আঁশ) : ১ দশমিক ৫ গ্রাম
ক্যালসিয়াম: ১১০ থেকে ১২০ মিলিগ্রাম
ভিটামিন ডি: ১০০ আইইউ
এ ছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন এ, ই, কে, বি৬, বি১২ মিলবে এতে। জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, কোলিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদানেও ভরপুর পুডিং। এতে কেবল একটি খাদ্য উপাদানই থাকে না। সেটা হলো ভিটামিন সি।
সতর্কতা
পুডিং তৈরিতে অতিরিক্ত চিনি ব্যবহার করবেন না। ৬ থেকে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশের বেশি চিনি দেওয়া যাবে না।চিনির পরিবর্তে কলা বা আম ব্যবহার করা যেতে পারে। তাতে পুডিংয়ের পুষ্টিগুণ আরও বাড়বে।
শিশুকে নিয়মিত পুডিং খাওয়ালে অন্যান্য প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানোর ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।প্রধান খাবার হিসেবে না দিয়ে পুডিং দিন নাশতা হিসেবে।
শিশুর দুধে অ্যালার্জি থাকলে বা ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থাকলে পুডিং খাওয়াবেন না।