সারা দেশ

আমার স্ত্রীকে কেন থানায় আনল বলেই পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দিলেন যুবক

চাঁদপুরে নিখোঁজের মামলায় উদ্ধার হওয়া এক কিশোরীকে স্ত্রী দাবি করে থানায় গিয়ে নিজের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দিয়েছেন সুজন গাজী (২৪) নামে এক যুবক। এ সময় ওই যুবক চিৎকার দিয়ে বলতে থাকেন, ‘আমার বিবাহিত নতুন বউকে কেনো থানায় নিয়ে আসা হলো।মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় এমন ঘটনা ঘটে। সুজন চাঁদপুর শহরের ব্যাংক কলোনির হারুন গাজীর ছেলে।

পুলিশের দেয়া তথ্যানুযায়ী, সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আবদুল আলিম মঙ্গলবার দুপুরে শহরের ব্যাংক কলোনীতে সুজন গাজীর ভাড়া বাসা থেকে এক কিশোরীকে উদ্ধার করেন। ওই সময় সুজনের মামাকেও থানায় নেয়া হয়। এরপর বিকেলে সুজনের মাকে থানায় নেয়া হলে তার মামাকে ছেড়ে দেয়া হয়। মাকে আটক রাখার পর সন্ধ্যায় সুজন গাজী পুলিশের ডাকে সাড়া দিয়ে থানায় হাজির হন।

পরে থানায় উপস্থিত সবার সামনে উদ্ধার হওয়া কিশোরীকে তার স্ত্রী দাবি করেন এবং তার নতুন বউকে কেন থানা নেয়া হয়েছে; তা জানতে চেয়ে উত্তেজিত হয়ে সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে নিজের পেটে আঘাত করেন। এরপর গুরুতর আহত সুজন গাজীকে প্রথমে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রাতেই কুমিল্লা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে আহত সুজন গাজীর বোনের অভিযোগ, তার ভাই থানায় গেলে উপ-পরিদর্শক আবদুল আলিম ভাইকে থাপ্পড় দেয়। তারপরই সুজন নিজের পেটে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় চিৎকার দিয়ে বলতে থাকেন, আমার বিবাহিত স্ত্রীকে কেন থানায় নিয়ে আসা হলো।

তবে ওই কিশোরীর বাবা বলেন, তার মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ২৪ মার্চ রাতে শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়। গত ১ এপ্রিল চাঁদপুর সদর মডেল থানা একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন তিনি।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত বলেন, সদর উপজেলার এক মেয়ের নিখোঁজের ডায়েরি করা হয়। সেই ডায়েরি সূত্র ধরে থানার উপ-পরিদর্শক আবদুল আলিম ওই কিশোরীকে শহরের ব্যাংক কলোনি থেকে উদ্ধার করেন। ওই ছেলের সঙ্গে মেয়েটি চলে আসে। ওই ছেলেকে থানা আসতে খবর দেয়া হয়। পরে ওই ছেলে (সুজন) মেয়েটিকে স্ত্রী দাবি করেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের যতো আইনগত প্রক্রিয়া আছে সব হচ্ছে। সুজন গাজীর বিরুদ্ধে এখনও কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়নি, যাচাই-বাছাই চলছে। বাকি ঘটনা তদন্তের পর বলা যাবে।

%d bloggers like this: