লাইফ স্টাইল

এবার ইফতারের পর গ্যাস্ট্রিক থেকে বাঁচতে যা করবেন

এবার ইফতারের পর গ্যাস্ট্রিক থেকে বাঁচতে যা করবেন

নানা কারণে অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভোগেন সবাই। রোজায় অনেকেই ইফতারে একসঙ্গে ভাজাপোড়াসহ আরও অনেক খাবার খেয়ে পেটে গণ্ডগোল বাধিয়ে ফেলেন।এসময় বদহজম, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা এড়াতে ইফতারের খাবার খেতে হবে কিছু নিয়ম মেনে।

ইফতার করার সময় কোন ধরনের খাবার খেলে অ্যাসিডিটি হবে না সেগুলো জেনে রাখা ভালো।রোজা ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে লেবু, চিনিযুক্ত শরবত কিংবা ট্যাং জাতীয় শরবত পান করা যাবে না। রোজা ভাঙতে হবে খেজুর বা এ জাতীয় খাবার দিয়ে। এর পর ধীরে ধীরে নরমাল পানি পান করতে হবে।

চিনি ছাড়া লাচ্ছি, কম লেবু দিয়ে পুদিনা পাতার জুস, টক দইয়ের সঙ্গে পুদিনা পাতা ও সামান্য লবণ দিয়েও স্মুদি করেও পান করা যেতে পারে। এ ধরনের পানীয় গ্যাস কমাতে কার্যকরী।

ইফতারের মেন্যুতে তরল জাতীয় খাবার, সহজে হজম হয় এমন খাবার, ফাইবার জাতীয় খাবার খেতে হবে। পাতলা খিচুড়ি, স্যুপ, সাবুদানার আইটেম, সেদ্ধ ভেজিটেবল, চাইনিজ ভেজিটেবল ও মোমো খাওয়া যেতে পারে।ইফতারের মেন্যুতে চর্বি ও ট্র্যান্সফ্যাট জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। রাখতে হবে প্রোটিন জাতীয় খাবারও।

ভাজাপোড়া, তৈলাক্ত ও মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।একসঙ্গে অনেক ধরনের খাবার খাওয়া যাবে না। কারণ একসঙ্গে সব ধরনের খাবার হজম হতে পারে না।

ইফতার করার পর অ্যাসিডিটি হলে দুই তিনটি পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেয়ে নেওয়া যেতে পারে। চাইলে এক কাপ পানিতে কয়েকটি পুদিনা পাতা দিয়ে সেদ্ধ করে সেই পানি পান করাও যেতে পারে।

অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে আদা কুচি করে কেটে লবণ দিয়ে খেতে পারেন।এ ছাড়া অ্যাসিডিটি কমাতে মৌরি চিবিয়ে খেতে পারেন। এটি পাকস্থলী ও অন্ত্রের পেশিতে প্রভাব ফেলে যা কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাসের সমস্যা কমাতে সহায়তা করে।