অপরাধ বার্তা

হলমার্ক দুর্নীতি মামলার রায় হয়নি সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য্য

হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ সোনালী ব্যাংকের প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ দুর্নীতির একটি মামলায় আলোচিত হলমার্ক গ্রুপের রায় ঘোষণা হয়নি।বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রায় ঘোষণা না করে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ৪ মার্চ দিন ধার্য্য করেছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউটরের আবেদন মঞ্জুর করে আজ ঢাকার ১ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আবুল কাশেম সাক্ষ্য গ্রহণের এ দিন ধার্য্য করেন। গত ২৮ জানুয়ারি মামলাটির যুক্তি-তর্কের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ঠিক করেছিলেন একই আদালত।

রায় থেকে মামলাটি সাক্ষ্যে নেওয়ার বিষয়ে দুদকের প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, ‘আরও দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের দুদকের পক্ষ থেকে আমরা মামলাটি আদালতে আবেদন করি। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছেন। সাক্ষীরা ম্যাজিষ্ট্রেট। এখন আদালত দুজনের সাক্ষ্য নেবেন।’

২০১২ সালে ফান্ডেড (সোনালী ব্যাংক থেকে সরাসরি ঋণ) ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭৭ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২৭ জনকে আসামি করে ১১টি মামলা এবং ২০১৩ সালে ফান্ডেড মামলায় প্রায় ৩৭২ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আরও ২৭টি মামলা দায়ের করে দুদক।

পরবর্তী সময়ে ২০১২ ও ২০১৩ সালে সালের বিভিন্ন সময়ে ৩৫টি মামলায় চার্জশিট এবং তিনটি মামলায় এফআরটি দেয় সংস্থাটি। চার্জশিট হওয়ার মামলাগুলোর মধ্যে ১১ মামলায় ২৫ জন আসামি।বে রায়ের তারিখ ঘোষণা হওয়ায় মামলায় মোট আসামি ১৯ জন।

তাদের মধ্যে হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর মাহমুদ, তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমেদ, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জিএম মীর মহিদুর রহমান, উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. সফিজউদ্দিন আহমেদ, ডিএমডি মাইনুল হক (বর্তমানে ওএসডি), এজিএম মো. কামরুল হোসেন খান (সাময়িক বরখাস্ত) ও নকশী নিটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আবদুল মালেক কারাগারে রয়েছেন।

এ ছাড়া জামিনে রয়েছেন হলমার্কের দুই উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আলতাফ হোসেন (সাময়িক বরখাস্ত)ও সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকার।

হলমার্কের মামলায় পলাতক আসামিদের মধ্যে রয়েছেন প্যারাগন গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জিএম ননী গোপাল নাথ (বর্তমানে ওএসডি), প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক মো. সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মতিন, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া, টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান, সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি (বর্তমানে ওএসডি) মো. আতিকুর রহমান ও সোনালী ব্যাংক ধানমণ্ডি শাখার বর্তমান জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা মেরি।

এ মামলায় অস্তিত্বহীন ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের নামে প্রায় ৫২৬ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাত করেন। মামলায় আদালত চার্জশিটে মোট ৮১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। মামলাটিতে ২০১৬ সালের ২৭ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত।

%d bloggers like this: