9 January 2025 , 4:29:04 প্রিন্ট সংস্করণ
কুষ্টিয়ায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর। গতকাল বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কুষ্টিয়া সদর ও কুমারখালী উপজেলার ৮টি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ১২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ ছাড়া ভাটাগুলোর কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ও হরিনারায়ণপুরে অভিযানে নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাতুল ইসলাম ও কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র ক্যামিস্ট হাবিবুল বাসার। অভিযানে এনএসআর ব্রিকসকে ৩ লাখ, ফাইভ স্টারকে ২ লাখ, এএফএনআর ব্রিকসকে ২ লাখ ৫০ হাজার ও এইচএনআর ব্রিকসকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযান শেষে রিফাতুল ইসলাম বলেন, এসব ভাটায় পুনরায় কার্যক্রম পরিচালিত হলে পরবর্তীতে আরও কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে কুমারখালী উপজেলায় চারটি ইট ভাটায় অভিযান চালিয়ে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, ভাটার কার্যক্রমের পরিধি বিবেচনায় ইট প্রস্তুতকারক আইনে জরিমানা করা হয়েছে। কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বৈধ লাইসেন্স না থাকা, জ্বালানি হিসেবে কাঠ পোড়ানো এবং নিষিদ্ধ ড্রাম চিমনি ব্যবহার করার অপরাধে চার ভাটা মালিককে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়াও ড্রাম চিমনি ভেঙে দেন আদালত। ভবিষ্যতে বৈধ কাগজপত্রাদি ছাড়া ভাটা পরিচালনা করবেন না, এই মর্মে মুচলেকা দেন ভাটা মালিকরা। গতকাল বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর পৌণে ১২ টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের কেশবপুরের সৈনিক ব্রিকস ও সাগর ব্রিকস ও হাঁসদিয়ার এমএসকে-১ এবং চাঁদপুর ইউনিয়নের কাঁচিকাটা ব্রিজ এলাকার এসএসবি ভাটায় অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা ব্যবস্থাপনা (নিয়ন্ত্রণ) আইনে আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম। আদালত পরিচালনায় সহযোগীতা করেন কুমারখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আইয়ুব আলী, থানার উপপরিদর্শক আবু সায়েম প্রমূখ। এ তথ্য নিশ্চিত করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, বৈধ লাইসেন্স না থাকা, জ্বালানি হিসেবে কাঠ পোড়ানো এবং নিষিদ্ধ ড্রাম চিমনি ব্যবহার করার অপরাধে সৈনিক, সাগর ও এমএসকে-১ ভাটা মালিকে ৫০ হাজার করে মোট এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং এসএসবি ভাটাকে এক লাখ টাকাসহ সর্বমোট দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ড্রাম চিমনি গুলো ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে বৈধ কাগজপত্রাদি ছাড়া ভাটা পরিচালনা করবে না, এই মর্মে মুচলেকা দেন ভাটা মালিকরা। জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। কুমারখালী উপজেলায় চার ভাটায় অভিযান চালিয়ে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, ভাটার কার্যক্রমের পরিধি বিবেচনায় ইট প্রস্তুত আইনে জরিমানা করা হয়েছে।