28 February 2024 , 12:27:54 প্রিন্ট সংস্করণ
মিয়ানমারের জান্তার সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সংঘাতের জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল সীমান্তে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা। প্রতিদিন গুলি-মর্টারের শব্দে আতঙ্কে দিন কেটেছে তাদের। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল সীমান্তবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে গত দুই রাত ধরে গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপ বন্ধ আছে। এতে কিছুটা স্বস্তিতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এবং কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তের ২৭ গ্রামের মানুষ।
এদিকে দুই দিন ধরে রাখাইন পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় নাইক্ষ্যংছড়িতে ২৩ দিন ধরে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আজ সকাল থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে।নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ির বিপরীতে রাখাইন রাজ্যের তুমব্রু, ঢেঁকিবনিয়ায় দুই দিন ধরে গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপ বন্ধ আছে। এপারে গোলাগুলির শব্দ আসছে না। তবে দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই চলছে নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে শত কিলোমিটার দূরে মংডুর পূর্ব দিকে রাচিডং-বুচিডং এলাকায়।
টানা এক মাস ধরে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় দেশটির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।উখিয়ার পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে রাখাইন রাজ্য এখন মোটামুটি শান্ত আছে। তবে রাজ্যের উত্তর ও পূর্ব–দক্ষিণ দিকে রাচিডং-বুচিডং এলাকায় আরাকান আর্মির হামলা, চৌকি দখলের ঘটনা ঘটলেও মধ্যভাগে (টেকনাফের বিপরীতে) রাখাইনের জেলা শহর মংডুসহ আশপাশের বিশাল এলাকা এখনো সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আছে।
এসব এলাকা দখলে নিতে মরিয়া আরাকান আর্মি কিছুদিন ধরে হামলা চালাচ্ছে গভীর রাতে। সরকারি বাহিনীও রাত ও দিনে হেলিকপ্টারে করে আরকান আর্মির অবস্থানে গোলা ও মর্টার শেল নিক্ষেপ করছে।টেকনাফের হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, এখন যেখানে যুদ্ধ চলছে, তা শত কিলোমিটার দূরে। এ কারণে এপারে গোলাগুলির শব্দ আসছে না। নাফ নদী অতিক্রম করে মিয়ানমারের লোকজনের অনুপ্রবেশও বন্ধ আছে।
টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাখাইন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সেখানকার কাউকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাংলাদেশ সীমান্তে কঠোর অবস্থানে বিজিবি।