20 February 2024 , 4:27:20 প্রিন্ট সংস্করণ
আমরা সবাই লম্বা-ঘন এবং মজবুত চুল পেতে চাই। এজন্য চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার ওপর জোর দেওয়া উচিত। চলুন জেনে নেয়া যাক সেজন্য কোন খাবার গুলো খাওয়া জরুরি-
১। ডিম: ডিমকে পুষ্টির পাওয়ার হাউস বলা হয়। ডিমে থাকা প্রোটিন, বায়োটিন এবং এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিড যা চুল লম্বা ও চুলের স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
২। বীজ এবং বাদাম: বাদাম, আখরোট, ফ্ল্যাক্সসিড এবংছোলা, মিষ্টিকুমড়া বীজ, সূর্যমুখী বীজ, তিসি দানা, চিয়া বীজ চুলকে বিস্ময়কর ভাবে মজবুত রাখে এবং চুলের ব্র্যাকেজ প্রতিরোধ করে। কারণ এগুলোতে আছে, ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন-ই এবং বায়োটিন
৩। তৈলাক্ত মাছ: সামুদ্রিক মাছেই শুধু নয় দেশি মাছেও যেমন; কৈ, চাপিলা, মলা মাছে ওমেগা -৩ ফ্যাটি এসিড আছে যা চুলকে ঘন, কালো ও সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।
৪। হলুদ ও কমলা রঙের সবজি/ফলমূল : এগুলোতে থাকে, ভিটামিন-এ যা চুলের ফলিকল ঠিক রেখে চুল পরা প্রতিরোধ করে ও চুলের গোড়া মজবুত রাখে। যেমন; মিষ্টি কুমড়া, গাজর, মিষ্টি আলু, পেঁপে, আম ইত্যাদি।
৫। পালং শাক: এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রনের পাশাপাশি ভিটামিন-এ, সি ও ফলেট রয়েছে যা চুলের বৃদ্ধির জন্য চমৎকার ভূমিকা রাখে।
৬। অ্যাভোকাডো: এটি স্বাস্থ্যকর চর্বি, ভিটামিন-ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। যা আপনার মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগায় এবং চুলকে ঘন, লম্বা, কালো রাখতে সাহায্য করে।
৭। ডাল: ডালে ফলেট, প্রোটিন, আয়রন, জিঙ্ক এবং বায়োটিন থাকে। আয়রন মাথার তালুতে রক্ত সরবরাহ করে চুলের গোড়ায় অক্সিজেন পৌঁছাতে সাহায্য করে সেই সঙ্গে ফলিকলগুলোকে শক্তিশালী করে। চুলের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়।
৮। টক ফল: টক ফলে থাকে ভিটামিন-সি, জিংক, যার অভাব হলে চুল পরে , বেঁকে যায় এবং আয়রন শোষণ হতে পারে না। এ সমস্যা সমাধান করতে টক ফল খেতে পারেন।