সারা দেশ

৫০টি থেকে ৭০০টি ফাউমি মুরগি পালনে জিলানীর চমক

৫০টি থেকে ৭০০টি ফাউমি মুরগি পালনে জিলানীর চমক

সফল খামারি হিসেবে এলাকায় বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন আব্দুল কাদের জিলানী। ৫০টি বাচ্চা দিয়ে শুরু করে বর্তমানে তার খামারে ৭০০টি মুরগি রয়েছে। ঠাকুরগাঁয়ে উন্নত জাতের মিশরীয় ফাউমি মুরগি পালনে আব্দুল কাদের জিলানী সফলতা অর্জন করেছেন। শখের বশে পালন শুরু করে এখন বাণিজ্যিক চাষ শুরু করেছেন।

আব্দুল কাদের জিলানী ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলারহাট ইউনিয়নের উত্তর বোয়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ২০১৯ সালে শখের বশে ঢাকার নারায়ণগঞ্জ থেকে ৫০টি উন্নত জাতের মিশরীয় ফাউমি মুরগির বাঁচ্চা কিনে খামার শুরু করেন। বাচ্চাগুলো ১৫ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলেন। তারপর মুরগি রাখার জন্য দুটি সেড তৈরী করেন। শুরুর দিকে ২০টি মুরগি ঠান্ডায় মারা যায়।

তারপর প্রাণীসম্পদের পরামর্শে বাকি ৩০টি মুরগি নিয়েই লালন পালন শুরু করেন। বর্তমানে তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন। খামার করার প্রথম ৪ মাসের মধ্যেই মুগির ডিমে দিতে শুরু করে। বর্তমানে তার খঅমারে ৭০০টির মতো মুরগি রয়েছে। অনেকে তার দেখাদেখি এই মুরগির খামার শুরু করেছেন।

খামারি আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, শখের বশেই এই উন্নত জাতের মুরগির পালন শুরু করি। ৫০টি মুরগির বাচ্চা কিনে আনলে কিছুদিনে মধ্যেই ২০টি বাচ্চা মারা যায়। আমি থেমে যাইনি। প্রাণীসম্পদের পরামর্শ নিয়ে এই ৩০টি বাচ্চাকেই লালন পালন শুরু করি। শুরু ৪ মাসেরে মধ্যেই মুরগি ডিম দিতে শুরু করে। পরে আমি মেশিনের মাধ্যমে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটেয়েছি। ধীরে ধীরে মুরগির সংখ্যা বাড়তে থঅকে।

বর্তমানে আমার খামারে প্রায় ৭০০টি মুরগি রয়েছে। বর্তমানে প্রতি মাসে মেশিনের মাধ্যমে ১০০-১৫০টি ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানো হয়। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ মুরগি বিক্রি করেছি। বাচ্চা থেকে মাত্র ৩০ দিন বয়সেই এই মুরগি বিক্রির উপযুক্ত হয়। প্রতি পিস মুরগি ২০০-৩০০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। আশা করছি খামার আরো বড় করবো।

উপজেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. রোকনুজ্জামান বলেন, জিলানী নিজেকে একজন সফল খামারি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তার থেকে অনেকে মুরগির বাচ্চা ক্রয় করে নিয়ে খামার করে সফল হয়েছেন। এছাড়াও নতুন অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন।

আরও খবর

Sponsered content