খেলাধুলা

ব্যালন ডিঅর এবং দ্য বেস্ট বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে বললেন রোনালদো

ব্যালন ডিঅর এবং দ্য বেস্ট বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে বললেন রোনালদো

ব্যালন ডি’অরের পর ফিফার বর্ষসেরা ‘দ্য বেস্ট’। লিওনেল মেসির শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আরলিং হালান্ড। সবশেষ মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ট্রেবল জিতেছিলেন নরওয়েজীয় এই ফরোয়ার্ড। এমনকি গোল ও অ্যাসিস্টের দিক থেকেও বেশ এগিয়ে ছিলেন তিনি। ২০২২ সালে মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছেন। ক্লাব ফুটবলে হালান্ডের অর্জন বড় হলেও সবমিলিয়ে মেসির ব্যালন ডি’অর প্রাপ্য ছিল বলেই মনে করেন অনেকে।

তবে এবার ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ অ্যাওয়ার্ডও হালান্ডকে ছাপিয়ে মেসির হাতে উঠায় সমালোচনা হচ্ছে বেশ।কেননা যে টাইমলাইন বিবেচনায় এনে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, তাতে মেসির থেকে পারফরম্যান্সে বেশ এগিয়েই ছিলেন হালান্ড। ভোট ও পয়েন্টও পান দুজনই সমান। পরে টাইব্রেকিং পদ্ধতিতে ফিফা ‘দ্য বেস্ট’ ঘোষণা করা হয় মেসিকে। দ্বিতীয় হন হালান্ড, তৃতীয় কিলিয়ান এমবাপ্পে।এরই মধ্যে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে দুবাই গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ড নিয়ে।

শুক্রবার গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডসে বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জেতেন আরলিং হালান্ড।২০২২-২৩ মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৩ ম্যাচে ৫২ গোল করেন হালান্ড। ইংলিশ ক্লাবটি প্রথমবারের মতো জেতে প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ট্রেবল; যাতে বড় অবদান হালান্ডের।এদিকে পর্তুগিজ মহাতারকা রোনালদো গ্লোব সকারে জেতেন মোট তিনটি পুরস্কার- সেরা গোলস্কোরারের জন্য ম্যারাডোনা অ্যাওয়ার্ড, মধ্যপ্রাচ্যের সেরা খেলোয়াড় এবং ফ্যানস ফেভারিট বর্ষসেরা খেলোয়াড়।

অনুষ্ঠানে তার কাছে ফিফা ‘দ্য বেস্ট’ নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকেরা। জবাবে রোনালদো রীতিমত বোমা ফাটান। তার পরিষ্কার কথা, ব্যালন ডি’অর এবং দ্য বেস্ট বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে। সংখ্যাই বাস্তব।এরপর অবশ্য একটু ঘুরিয়ে কারণটা ব্যাখ্যা করেন রোনালদো। বলেন, আমাদের পুরো মৌসুম বিশ্লেষণ করতে হবে। এটা বলা যাবে না যে মেসি এই পুরস্কারের যোগ্য নয়। অথবা হালান্ড, কিংবা এমবাপেও। আমি আসলে এসব পুরস্কারে আর বিশ্বাস করি না।

রোনালদো যোগ করেন, এটি এই কারণে নয় যে, আমি গ্লোব সকারে জিতেছি। তবে এটাই বাস্তব। সংখ্যা (গোল এবং পরিসংখ্যান) তো রয়েছেই, তার সঙ্গে তো প্রতারণা করা যাবে না।তিনি আরও বলেন, তারা আমার কাছ থেকে এই ট্রফি নিতে পারেনি, কারণ এটা বাস্তবতা। আমি বেশি খুশি, কারণ সংখ্যাগুলো সত্য।রোনালদোর বয়স ৩৮ পেরিয়েছে। অনেকেই ভাবছিলেন, তিনি ফুরিয়ে গেছেন।

কিন্তু গত বছর সর্বোচ্চ গোল করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী এই ফরোয়ার্ড। তিনি বলেন, যদি আপনি পেছনে ফেরেন এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং পর্তুগালে কী ঘটেছে দেখেন; দেখবেন মানুষ ভাবছিল আমি শেষ হয়ে গেছি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, আমি ফোকাসড ছিলাম এবং আল নাসরে দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছি। এজন্যই আমি ৫৪ গোল করতে পেরেছি।