23 January 2024 , 1:11:55 প্রিন্ট সংস্করণ
প্রথম ম্যাচেই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স নিজেদের সামর্থের প্রমাণ দিয়েছিলো। মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ১৭৭ রান তাড়া করেও জিতে গিয়েছিলো তারা। দ্বিতীয় ম্যাচটি ছিল একটু হতাশার। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ১২১ রানে অলআউট হয়ে হেরেছিলো ৪ উইকেটের ব্যবধানে। তবে টানা তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে শুভাগত হোমের চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দুর্দান্ত ঢাকাকে ৬ উইকেটের ব্যবধানে অনায়াসেই হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান করেছিলো ঢাকা।জবাবে ১৮.২ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।এ নিয়ে বিপিএলে প্রায় প্রতিটি ম্যাচই জিতলো রান তাড়া করা দল। অর্থ্যাৎ, টস জয় মানেই ম্যাচ জয়।
কারণ, টস জিতলেই ফিল্ডিং এবং রান তাড়া করতে গিয়ে সহজেই ম্যাচ জিতে বেরিয়ে আসছে দলগুলো।চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স বিষয়টা আবারও প্রমাণ করলো।প্রথম ম্যাচে ১৭৭ রান তাড়া করে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১২১ রানে অলআউট হয়েছিলো তারা। আবার তৃতীয় ম্যাচে এসে রান তাড়া করে জিতলো শুভাগত হোমের দল।টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৬ রান করতে সক্ষম হয় দুর্দান্ত ঢাকা।
সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন শ্রীলঙ্কান লাসিথ ক্রুসপুলে। ২৭ রান করেন ইরফান শুকুর। শুভাগত হোম এবং বিলাল খান নেন ২টি করে উইকেট।জবাব দিতে নেমে অভিষেক ফার্নান্দো এবং তানজিদ হাসান তামিমের জুটিতে শুভ সূচনা হলেও ৬ বলে ৩টি বাউন্ডারি মেরে আউট হয়ে যান ফার্নান্দো। এরপর ইমরানুজ্জামান ১ রান করে বিদায় নিলেও তানজিদ তামিম এবং শাহাদদাত হোসেন দিপু দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে আসেন।
২২ রান করে দিপু আউট হলেও নজিবুল্লাহ জাদরান ১৯ বলে ৩২ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ৪০ বলে ৪৯ রান করে আউট হন তামিম। ম্যাচ সেরাও হলেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দুর্দান্ত ঢাকা: ১৩৬/৮, ২০ ওভার (লাসিথ ক্রুসপুলে ৪৬, ইরফান শুকুর ২৭, তাসকিন ১৫; আল আমিন ২/১৫, বিলাল খান ২/২৮)।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৩৭/৪, ১৮.২ ওভার (তানজিদ তামিম ৪৯, নজিবুল্লাহ জাদরান ৩২*, শাহাদাত দিপু ২২; শরিফুল ইসলাম ২/৪০)
ফল: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৬ উইকেটে জয়ী (১০ বল হাতে রেখে)