2 January 2024 , 6:24:19 প্রিন্ট সংস্করণ
ফিলিস্তিনিদের নিয়ে খাজার সাহসের প্রশংসা করেছেন খোদ অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানেজ। গেল ডিসেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে পার্থ টেস্টে ফিলিস্তিনের সমর্থনে বার্তা সংবলিত বিশেষ জুতা পরে খেলতে চেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার উসমান খাজা। আইসিসির নিয়মের বেড়াজালে সেটি করতে পারেননি তিনি। তবে ঠিকই হাতে কালো বাহুবন্ধনী পরে খেলেছিলেন খাজা।
যার কারণে তাকে তিরস্কার করে আইসিসি।কিন্তু তাতেও থেমে থাকেননি তিনি। বক্সিং ডে টেস্টে মেলবোর্নে জুতায় শান্তির প্রতীক পায়রা এবং জলপাই ডালের প্রতীক নিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে অনুমতি পেলেও খাজাকে আবারও আটকে দেয় আইসিসি।
তবে খাজা যেন দমে যাওয়ার পাত্র নন। নিজের মতো করেই প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে নেন তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় তথা মেলবোর্ন টেস্টে খাজা তার জুতায় নিজের দুই মেয়ের নাম লিখে খেলেছেন। নিজের দুই মেয়ের নামও প্রতিবাদেরই অংশ।পার্থ টেস্টে আইসিসির আপত্তির পর খাজা বলেছিলেন, ‘যখন আমি দেখি হাজার হাজার নিরপরাধ শিশু মারা যাচ্ছে, ওই জায়গায় আমি আমার দুটি মেয়েকে কল্পনা করি।
কী হতো যদি ওখানে ওরা থাকত?’ ফিলিস্তিন নিয়ে নিজের এমন প্রতিবাদের পক্ষে সাবেক ও বর্তমান অনেকেরই সমর্থন পেয়েছেন উসমান খাজা। এবার প্রধানমন্ত্রীও তাকে সমর্থন জানালেন। ইংরেজী নববর্ষ উপলক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন কিরিবিলি হাউজে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল পাকিস্তান ও স্বাগতিক দলের সদস্যদের।
সেখানে খাজার সাহসিকতার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানেজ।তিনি বলেন, মানবিক মূল্যবোধের জন্য সে (খাজা) যে সাহস দেখিয়েছে, তার জন্য তাকে অভিনন্দন জানাতে চাই। আলবানেজ আরও বলেন, সে সাহস দেখিয়েছে এবং দল তাকে সমর্থন করেছে এটি দুর্দান্ত জিনিস।এর আগে খাজার প্রতি আইসিসির বৈরী আচরণে অবাক হয়েছিলেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
তার মতে, ফিলিস্তিনের প্রতি খাজার সমর্থন এবং মার্নাস ল্যাবুশেনের ধর্মীয় আবেগ দেখিয়ে ঈগলের স্টিকার লাগানো একইদিকে ইঙ্গিত করে।বাইবেলের একটি শ্লোকের দিকে ইঙ্গিত করে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাটের বিপরীত দিকে ঈগলের স্টিকার ব্যবহার করেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার মার্নাস ল্যাবুশেন। খাজাসহ অস্ট্রেলিয়ান দলের সব খেলোয়াড়ই ব্যাটে নিজেদের স্পন্সরের স্টিকার ব্যবহার করে থাকেন। আর এই ব্যাপারে আইসিসির কোনো নিষেধাজ্ঞাও নেই।