বিনোদন

মানুষের রুচিকে নষ্ট করছি আমরা বললেন দিলারা জামান

মানুষের রুচিকে নষ্ট করছি আমরা বললেন দিলারা জামান

বর্তমান নাটকের দৃশ্য ও সংলাপ নিয়ে দর্শক ছাড়াও আপত্তি রয়েছে অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে। এর পক্ষে-বিপক্ষে মাঝেমধ্যেই মতামত জ্যেষ্ঠ তারকা থেকে শুরু করে নতুনরাও।বর্তমানের কিছু নাটকের ভাষা ও দৃশ্য নিয়ে আপত্তি রয়েছে অভিনেত্রী দিলারা জামানের। কালবেলাকে তিনি খুলে বলেছেন নিজের আক্ষেপের কথা।

অভিনেত্রী বলেন, ‘ওসব নাটকের একেকটা যখন চোখের সামনে আসে তখন আমার খুব লজ্জা লাগে। ওখানে যেসব দেখনো হচ্ছে সেগেুলো কি আমাদের জীবনের গল্প? কীসব তুলে ধরছি আমাদের দর্শকদের কাছে? মানুষের রুচিকে নষ্ট করছি আমরা। যে রকম দেখনো হচ্ছে, দর্শকের রুচি সে রকমই গড়ে উঠছে।

কেমন অশ্লীল কথাবার্তা! কেমন রংঢং! এগুলো কোন সামাজের চিত্র? এগুলো কি বাঙালি সমাজ? এগুলো কি আমাদের ঐতিহ্য? আমাদের সংস্কৃতি? জানি না। আমি এগুলো দেখে বিরক্ত হই। হয়তো আমি বৃদ্ধ মানুষ বলে এসব দেখে বিরক্ত হই।আক্ষেপ করে দিলারা জামান বলেন, ‘জানুক আর না জানুক অভিনয়টাকে পেশা হিসেবে নিয়ে নিচ্ছে! এখন লাখ লাখ ভিউ দেখে মানুষের ভেতর একটা অহমিকাও চলে আসে।

তিনি আরও বলেন, ‘এখনকার অভিনয়শিল্পীরা হয়তো অনেক বেশি জানে; হয়তো অনেক শিখে এসেছে তাই অভিনয়কে এত সহজভাবে নেয়। আমরা তো এখনো বলি আগে স্ক্রিপ্ট দাও, চরিত্রটা পড়ি। অন্য চরিত্রের সঙ্গে আমার যে সম্পর্ক সেটা আমাকে বুঝতে হবে আগে। যা হোক, এখন আমাদের সময় তো চলে গেছে। এখন নতুন ধারা, নতুন জীবন, নতুন পছন্দ।

আগের মতো নাটক না হওয়ার বিষয়ে অভিনেত্রীর ভাষ্য, ‘অনেকে বলে আগের মতো নাটক হয় না। আগের মতো নাটক কেন হবে? মনমানসিকতাই তো বদলে গেছে। একটা নাটক যে অনেকখানি প্রভাব ফেলতে পারে সেটা এখন অস্বীকার করা হয়। সেগুলোকে এখন অনেকে মেনে নিতে চায় না।

পরিবারের সবা্ই মিলে টেলিভিশনের সামনে বসে নাটক দেখার সেই আনন্দময় সময়ের স্মৃতি টেনে দিলারা জামান বলেন, ‘সবাই একসঙ্গে বসে নাটক উপভোগ করার পারিবারিক বন্ধনগুলোও চলে গেছে। এখন নাটক দেখার সময়ও নেই মানুষের।

নিজের পাওয়া-না পাওয়ার ফিরিস্তি টেনে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি যে কাজটাকে ভালোবেসে করেছি সেটা হলে অভিনয়। ভালোবাসা থেকেই অভিনয়ে এসেছিলাম। পেশা হিসেবে নিয়ে দেখলাম বাঁচাই মুশকিল। আমি কিছু কাজ করতে চাই যেগুলো মানুষের মনে থাকবে।