জাতীয়

সাংবাদিক ইলিয়াসের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

সাংবাদিক ইলিয়াসের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

পিবিআই প্রধান বনজ কুমারের করা মামলায় সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুলফিকার হায়াত এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন।

এর আগে গত ২৫ জুলাই আদালত আসামি সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ও বাবুলের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবুর বিরুদ্ধে চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেন। উপাদান না থাকায় এসপি বাবুল আক্তারকে অব্যাহতি দেন। এসময় পলাতক থাকায় আসামি ইলিয়াসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।

২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই বছরের ১০ নভেম্বর বাবুল আক্তারকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ মামলায় বাবুল আক্তারের ভাই লাবু ও বাবা ওয়াদুদ জামিনে রয়েছে। তবে সাংবাদিক ইলিয়াস পলাতক রয়েছে। তদন্ত শেষে গত ৯ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ধানমন্ডি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তবে তবে বিশেষ ক্ষমতা আইনের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আসামি ইলিয়াস তার ফেসবুক, ইউটিউব চ্যানেল থেকে এসপি বাবুল আক্তারের অডিও কথপোকথন ফাঁস করেন। বাবুল আক্তারের ভাই লাবু ও বাবা আব্দুল ওয়াদুদ মানববন্ধন করেন।মানববন্ধনে বাবুল আক্তারের মুক্তি চেয়ে মানহানিকর তথ্য প্রদান করেন। আসামি বাবুল আক্তারের সহযোগিতায় ওই সব তথ্য উপাত্ত আসামি ইলিয়াসের কাছে পাঠানো হয়।

পরে আসামি ইলিয়াস অডিও তথ্য ফাঁস করে।তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫(২), ২৮(২), ৩১(২) ও ৩৫(২) ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। তবে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৬(২) ও ২৫(ঘ) ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হয়নি।