রাজনীতি

হয় জিতবো নয় মরবো ঝুলবো না বললেন কাজী জাফর উল্লাহ

হয় জিতবো, নয় মরবো, ঝুলবো না বলে মন্তব্য করেছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফরিদপুর-৪ আসনের বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী কাজী জাফর উল্লাহ। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন) উদ্দেশে বলেছেন, ‘আরে নিক্সন তুমি ভাবছো চাচা চইলা গেছে, খুব ফুর্তি করতেছো খোলা মাঠে গোল দিবা, তা হবে না।

আমার জান (জীবন) থাকা পর্যন্ত গরিবের হক মেরে খাওয়ার দিন তোমার শেষ।রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ফরিদপুরের সদরপুরের কৃষ্ণপুর বাজারে এক নির্বাচনী সভায় তিনি এসব কথা বলেন।উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে কাজী জাফর উল্যাহ বলেন, যদি আপনারা সাহস করেন, আপনার অধিকার রক্ষা করতে চান, আপনাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ রক্ষা করতে চান, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চান, একসময় হাটকৃষ্ণপুর ছিল বড় ব্যবসায়িক কেন্দ্র, এক নামে সবাই চিনত, আবার যদি সেই সুনামে ফিরে যেতে চান দয়া করে নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন। আমি আপনাদের ওয়াদা দিতে পারি।

শেখ হাসিনার মতো আমিও যা বলি তা করে দেখাই। অতএব, আপনাদের উন্নয়নের মহাসড়কে আনব। ভাগ্যের পরিবর্তন করবো। আপনাদের মুখে হাসি ফোটাব।তিনি আরও বলেন, আমাদের যে বর্তমান এমপি তার এত টাকা আর এত ক্ষমতা যে সে মানুষকে মানুষ ভাবে না। আমার মতো একজন বয়স্ক মানুষকেও সে বলে, আমার মা একটা ফকির আর আমি হইলাম ফকিন্নির সন্তান। এই হলো তার ভাষা। এটা কোনো রাজনৈতিক ভাষা? কোনো ভদ্রলোকের ভাষা? আমি কি ফকিন্নির সন্তান?

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম এই সদস্য বলেন, এর আগে সে (নিক্সন) বলেছে যে আমাকে ল্যাংটা কইরা মান্দার গাছে উঠাবে। এটা কী কোনো রাজনৈতিক ভাষা? এই রকম তার সাহস হয়ে গেছে। এখন টাকার গরমে সে গোলমাল করতে চাচ্ছে। সহজ ভাষায় বলতে চাই, আমরা কোনো গোলমাল পাকাতে চাই না। এখানে গরিব-দুঃখী মানুষ যা বলবে তাই হবে। মাস্তানদের এখানে কোনো জায়গা থাকবে না।তিনি আরও বলেন, নিক্সন কইছে, চাচার যদি টাকা লাগে আমি টাকা দেব।

তাহলে সে কত টাকার মালিক, কত গরম তার যে আমাকেও সে টাকা দিয়ে কিনতে চায়। আপনারা কি মনে করেন না যে তাকে একটা উচিত শিক্ষা দেওয়া দরকার, দাঁতভাঙা শিক্ষা দেওয়া উচিত?সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ, কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হিরু চৌধুরী প্রমুখ।

আরও খবর

Sponsered content

%d bloggers like this: