খেলাধুলা

রাতে মাঠে গড়াচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের লড়াই

রাতে মাঠে গড়াচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের লড়াই

বিরতি দিয়ে আজ রাত থেকে আবারও মাঠে গড়াবে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের লড়াই। বেশ কয়েকটি ম্যাচ রয়েছে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি, বার্সেলোনা, পিএসজি, বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মতো বড় দলগুলোর খেলাও রয়েছে আজ। ম্যাচগুলো শুরু হবে রাত ২টায়।

গ্রুপ ‘জি’র ম্যাচে মুখোমুখি হচ্চে ম্যানসিটি ও আরবি লাইজিগ। সবকিছুর বিচারে চ্যাম্পিয়ন সিটি অনেক এগিয়ে জার্মান ক্লাবটির বিপক্ষে। তাইতো ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ফেভারিট হিসেবে মাঠে নামবে সিটিজেনরা। অতীতের ৫ দেখায় লাইপজিগকে ৩বার হারিয়েছে গার্দিওলার দল। আর হেরেছে একবার।

সুস্থ হয়ে এই ম্যাচে মাঠে নামার কথা সিটি ফরোয়ার্ড জ্যাক গ্রিলিশের। তবে পুরনো চোটে এখনও মাঠের বাইরে জন স্টোন, সার্জিও গোমেজ, কোভেসিচ, ম্যাথিয়াস নুনেজ ও অধিনায়ক ডি ব্রুইনা। অন্যদিকে, চোটের কারণে দলের সেরা ২ স্ট্রাইকার টিমো ভার্নার ও ড্যানি ওমলোকে পাচ্ছে না আরবি লাইপজিগ।

তবে রাতের সবচেয়ে আকর্ষণীয় লড়াই হবে গ্রুপ অফ ডেথ ‘এফ’-এ। সান সিরোতে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড মুখোমুখি হবে এসি মিলানের। জার্মান লিগে প্রত্যাশিত ফর্ম না থাকলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সেরা ছন্দেই আছে ডর্টমুন্ড। মিলানের বিপক্ষে অতীতের ছয় দেখায় ৩ জয় আর ২ হারও এগিয়ে রাখছে জার্মান ক্লাবটিকেই।

অন্যদিকে, দলীয় শক্তি আর ঐতিহ্যের বিচারে এগিয়ে এসি মিলান। অভিজ্ঞ দুই স্ট্রাইকার ওলিভিয়ের জিরু ও ক্রিশ্চিয়ান পুলেসিক গোল করার কাজটি ঠিকভাবে করলে মিলানের জয়ের সম্ভাবনা বাড়বে অনেকটাই।একই গ্রুপের আরেক ম্যাচ হবে পিএসজি ও নিউক্যাসলের মধ্যে। পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে থাকা পিএসজি দলীয় সামর্থ্যের বিচারে এগিয়ে থাকবে।

কিলিয়ান এমবাপ্পে দলটির মূল তারকা। সেইসাথে রামোস-ডেম্বেলের মতো প্রমাণিত ফরোয়ার্ড আছে পিএসজি শিবিরে। তবে ইনজুরিতে শক্তি হারিয়েছে দলটির রক্ষণ। দুই অভিজ্ঞ সেন্টারব্যাক মারকুয়িনহোস ও কিমবেমপে রয়েছেন মাঠের বাইরে।তবে সব সমীকরণ পাল্টে দেয়ার ক্ষমতা আছে নিউক্যাসেলের।

গ্রুপের প্রথম লেগের দেখাতে পিএসজিকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে নিউক্যাসল। দলের তিন ফরোয়ার্ড আলমিরন, ইসাক ও গরডন রয়েছেন দারুণ ছন্দে। মাঝমাঠে গামারেস ও জেলিংটনের মতো তারকাও রয়েছে দলটির। অন্যদিকে, গ্রুপ ‘এইচ’ এর ম্যাচে পোর্ত’র বিপক্ষে মাঠে নামবে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা।

গ্রুপ পর্বে চারটি করে ম্যাচ খেলা দুই দলেরই পয়েন্ট ও গোল ব্যবধান সমান। তাই বলাই যায়, কাতালানদের কঠিন পরীক্ষা নেবে পোর্ত। তবে ইতিহাস বার্সার পক্ষেই। আগের দুই দেখায় দুটিতেই জয় পেয়েছে লা লিগার ক্লাবটি।