আন্তর্জাতিক

যুদ্ধের পরও গাজার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব ইসরায়েলের নেতানিয়াহু

হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ শেষ হলেও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ইসরায়েলের হাতে থাকবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

সোমবার (৬ নভেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন নেতানিয়াহু।

মঙ্গলবার এ খবর জানিয়েছে বার্তাসংস্থা বিবিসি ও টাইমস অব ইসরায়েল।তবে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে বা আটকদের বের হওয়ার জন্য “কৌশলগত সামান্য বিরতি” দেওয়া সম্ভব হতে পারে বলে মন্তব্য করেন ইসরায়েলের এই প্রধানমন্ত্রী।

নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমি মনে করি, গাজার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব ইসরায়েলের হাতে থাকা উচিত এবং তা অনির্দিষ্টকালের জন্য। কারণ সম্প্রতি যা ঘটছে, তা আমাদের কাঙ্ক্ষিত ছিল না। আমরা এমনটা চাইনি।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার আভাস দিলেও এবার প্রকাশ্যে এই অবস্থান নিলেন নেতানিয়াহু।

তবে গাজার সার্বিক নিরাপত্তা বলতে নেতানিয়াহু কি বুঝিয়েছেন তা পরিস্কার না হলেও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছেন যে তারা যুদ্ধের পরে গাজা দখল করতে চান না।

এ ছাড়া ইরানপন্থী লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহকে এই যুদ্ধ থেকে দূরে থাকার সতর্কবার্তা দিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করব—তারা বুঝবে যে এই যুদ্ধে যদি তারা জড়িয়ে পড়ে, তাহলে আমরা খুবই শক্তভাবে তার প্রতিক্রিয়া জানাব এবং আমার মনে হয় না তারা সেই ভুল করবে।’

সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু ইঙ্গিত দেন যে গাজায় হামাসের হাতে আটক থাকা জিম্মিদের মুক্তি দিলে তিনি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হবেন। তিনি বলেন, “জিম্মিদের মুক্তি দিলে সেই উদ্দেশ্যে একটি যুদ্ধবিরতি হবে, এবং আমরা এটি হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। তবে এটা এখন পর্যন্ত ঘটেনি।

এ সময় ইসরায়েলের এ প্রধানমন্ত্রী বলেন জিম্মিরা কোথায় আছে সে বিষয়ে ইসরায়েলের কাছে কিছু গোয়েন্দা তথ্য আছে কিন্তু বিস্তারিত বলতে অস্বীকার জানান তিনি।