বিনোদন

মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন অভিনেতা রুমি

মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন অভিনেতা রুমি

বরগুনায় মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা অলিউল হক রুমি। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। সোমবার (২২ এপ্রিল) ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে রুমির মরদেহ বরগুনা পৌরসভার পিটিআই সড়কে ভাইরের বাসায় পৌঁছায়।

প্রিয় অভিনয় শিল্পীকে এক নজর দেখতে ভিড় করেন তার স্বজনরা। পরে পৌনে ছয়টায় বরগুনার শহীদ আবুল হোসেন ঈদগাহ মাঠে তার দ্বিতীয় জানাজা শেষে বরগুনা পৌর গণকবরে তার মায়ের কবরের পাশে তার দাফন সম্পন্ন হয়।এসময় তার সহকর্মী রাশেদ সিমান্ত, শফিক খান নীলুসহ তার সহকর্মী শিল্পীবৃন্দ, আত্মীয় স্বজনসহ স্থানীয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ভোর ৩টা ৫৮ মিনিটে ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এরপর সকাল ৯টায় রাজধানী শহীদবাগ জামে মসজিদে তার প্রথম জানাজা সম্পন্ন করে মরদেহ বরগুনা পৌর শহরের পিটিআই সড়কে ছোট ভাই জিয়াউল হক জুয়েলের বাড়িতে আনা হয়। বরগুনা জেলার বামনা উপজেলায় জন্ম রুমির। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক ও মা হামিদা হক।

পরিবারে তিন বোন ও তিন ভাইয়ের মধ্যে রুমি মেজো। ভাইদের মধ্যে তিনি বড়। রুমির দুই সন্তান। মেয়ে আফরা আঞ্জুম রুজবা স্বামী সন্তান নিয়ে থাকেন কানাডায়। আর ছেলে ফারদিন হক রিতম একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্প্রতি লেখাপড়া শেষ করেছেন।অভিনয়ে তিন দশকের বেশি সময় পার করেছেন রুমি। দীর্ঘ এ পথচলায় অভিনয় করেছেন অসংখ্য নাটক ও সিনেমায়।

১৯৮৮ সালে রুমির অভিনয়ের শুরু থিয়েটার বেইলি রোডের ‘এখনো ক্রীতদাস’ নাটকের মধ্য দিয়ে। একই বছর ‘কোন কাননের ফুল’ নাটকের মাধ্যমে ছোট পর্দায় অভিষেক হয় তার। টেলিভিশনের পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। ২০০৯ সালে ‘দরিয়া পাড়ের দৌলতী’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বড়পর্দায় অভিষেক হয় অলিউল হক রুমির।

তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটক হলো, ‘ঢাকা টু বরিশাল’, ‘আমেরিকান সাহেব’, ‘জার্নি বাই বাস’, ‘বাকির নাম ফাঁকি’, ‘যমজ সিরিজ’, ‘কমেডি ৪২০’, ‘চৈতা পাগল’, ‘জীবনের অলিগলি’, ‘মেঘে ঢাকা শহর’ ইত্যাদি।রুমির মৃত্যুতে শোবিজ পাড়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।