ভিন্ন স্বাদের খবর

এবার চুল দিয়ে তৈরি হচ্ছে কার্পেট

এবার চুল দিয়ে তৈরি হচ্ছে কার্পেট

নিশ্চয়ই ভাবছেন চুল দিয়ে আবার কিভাবে কার্পেট বানানো হয়? তবে কেনিয়ায় সিন্থেটিকের তৈরি নকল চুল পুনর্ব্যবহার করে তৈরি করা হচ্ছে কার্পেট। পরিবেশ রক্ষায় এই উদ্যোগ নিয়েছেন দেশটির একদল নারী।

সিন্থেটিকের এসব নকল চুল ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় এগুলোর জায়গা হচ্ছে জলাশয়ে। তবে এ বিষয়ে নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কেনিয়ার পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। কেনিয়ার কিসুমু অঞ্চলের নারীরা তাদের কেশসজ্জায় ব্যবহার করে থাকেন সিন্থেটিকের তৈরি নকল চুল।

এই চুল ৪–৬ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়ে থাকে। এছাড়া এগুলোর দাম সত্যিকারের চুল দিয়ে তৈরি পরচুলার থেকে কম হওয়ায় কিসুমুর নারীদের মধ্যে তা বেশ জনপ্রিয়।সিন্থেটিকের তৈরি এই নকল চুলগুলো মাত্র একবারই ব্যবহার করা যায়।

এসব নকল চুল ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় এগুলোর জায়গা হচ্ছে জলাশয়ে, যা বাড়াচ্ছে পরিবেশের দূষণ। তবে সম্প্রতি এই চুল জলাশয়ে না ফেলে তা পুনর্ব্যবহারের উদ্যোগ নেন একদল নারী। এ নিয়ে উদ্যোক্তা সারাহ আদেরো জানান, ‘নতুন অবস্থায় এই চুলগুলো দেখতে বেশ সুন্দর লাগলেও পুরোনো হওয়ার সাথে সাথে এই চুলগুলো তার রং এবং সৌন্দর্য হারাতে শুরু করে।

কিন্তু এগুলো ফেলে দিলে, পরিবেশ দূষিত হয়। তাই এই নকল চুল দিয়ে আমরা পাপোশ ও অন্যান্য জিনিস তৈরি করছি। এতে পরিবেশ দূষণ যেমন কম হচ্ছে, তেমনই অনেকেই জীবনধারনের জন্য আয় করতে পারছে।সিন্থেটিকের এসব নকল চুল তৈরিতে ব্যবহার করা হয় অপচনশীল প্লাস্টিক।

ফেলে দেওয়া এসব চুল থেকে প্রথমে বেনি খুলে সুতা সংগ্রহ করা হয়। এরপর তৈরি করা হয় পাপোশ ও কার্পেট। একেকজন নারী প্রতি সপ্তাহে অন্তত ১০টি কার্পেট তৈরি করে থাকেন।আফ্রিকার বৃহত্তম মিঠা পানির উৎস ভিক্টোরিয়া হ্রদ।

কেনিয়ার ঘরোয়া থেকে শিল্প বর্জ্যের কারণে ভয়াবহ দূষণের কবলে পড়েছে হ্রদটি। প্রাকৃতিক জলাধারের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় এসব বর্জ্য পুনর্ব্যবহারে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।