11 February 2024 , 3:08:30 প্রিন্ট সংস্করণ
শীতে ঠোঁট ফাটা খুবই সাধারণ সমস্যা বলেই জানি আমরা। এ সময় এমন কেউ নেই, যার ঠোঁট ফাটে না। ছোট থেকে বড় সবারই ঠোঁট শুষ্ক থাকে ও ফেটে যায়। সাধারণত বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অন্য ঋতুর থেকে শীতে কম থাকার কারণে ঘাম কম হয়। এ কারণে সিবেসিয়াস গ্রন্থি থেকে বের হওয়া তৈলাক্ত পদার্থ ত্বকে ছড়াতে পারে না।
এ কারণে ত্বকের শুকনো জায়গা কুঁচকে ফেটে যায়।লাইফস্টাইলবিষয়ক ওয়েবসাইট সিক্রেট স্পা এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, শরীরের অন্যান্য অংশের থেকে মুখের ত্বক অনেক পাতলা হয়। আর শীতকালে এই পাতলা ত্বক পানিশূন্য হয়ে পড়ে। আবার ঠান্ডা বা শুষ্ক আবহাওয়া, কিছুক্ষণ পর পর জিহ্বার স্পর্শে নেয়া বা ডিহাইড্রেশনের কারণেও ঠোঁট ফেটে যায়।
ঠোঁটের ত্বক যেমন বেশি পাতলা, একইভাবে সংবেদনশীল। ঠোঁটের নিজস্ব কোনো গ্রন্থি না থাকার কারণে সহজেই নিজস্ব আর্দ্রতা পূরণ করতে পারে না। আবার অন্যসব ত্বকের থেকে ঠোঁট অনেক বেশি উপাদানের সংস্পর্শে আসে। এতে অল্পতেই শুষ্ক হয়ে যায় ঠোঁট।কখনো কোনো রোগের চিকিৎসা চললে বা ওষুধ সেবন করলেও এর প্রভাবে ঠোঁট শুষ্ক হতে পারে। আবার অনেক সময় অ্যাসিডিক, লবণাক্ত বা মশলাদার খাবার খাওয়ার কারণেও ঠোঁট ফেটে যায়।
করণীয়: ঠোঁটের জন্য নেয়া জরুরি―এটা সবার জানা থাকলেও কীভাবে যত্ন নিতে হবে তা অনেকেরই অজানা। ঠোঁট ফাটা রোধে নিয়মিত ভ্যাজলিন ও লিপজেল ব্যবহার করতে হয়। এতে নরম ও কোমল থাকে ঠোঁট।এছাড়া ঘরোয়াভাবে ১ চা চামচ গ্লিসারিন, ১ চা চামচ মুধু মিশিয়ে বোতলে রেখে দিতে পারেন। যা দিনে দুই থেকে তিনবার ঠোঁটে ম্যাসাজ করলে দীর্ঘক্ষণ ঠোঁট ভালো থাকে।বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর আগে।
তবে যখনই মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগাবেন, চার-পাঁচ মিনিট পর একটি টিস্যু বা রুমাল দিয়ে মুছে ফেলতে হবে।এদিকে বাড়িতে যদি অলিভওয়েল থাকে তাহলে ১ চা চামচ অলিভওয়েল, ১ চা চামচ চিনি, আধা চা চামচ বেসন নিয়ে ভালো করে মিশ্রণ করে নিন। এসব উপাদান জেলের মতো হবে। এবার ঠোঁটে তিন-চার মিনিট রাখুন। কিছুক্ষণ পর শুকিয়ে গেলে ভেজা হাতে ঠোঁট ম্যাসাজ করে উঠিয়ে ফেলুন প্যাকটি। এতে মরা কোষ উঠে ঠোঁটের কোমলতা বজায় থাকবে।