জাতীয়

আবারও শুরু হচ্ছে করোনার টিকা প্রদান অগ্রাধিকার পাবেন যারা

আবারও শুরু হচ্ছে করোনার টিকা প্রদান অগ্রাধিকার পাবেন যারা

দেশে আবারও বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। নতুন ভ্যারিয়েন্টের না হলেও দ্রুত টিকা দিতে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ভ্যাকসিন প্রদানের ক্ষেত্রে সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মী, ৬০ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সি জনগোষ্ঠী, দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সি জনগোষ্ঠী, স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছর এবং তদূর্ধ্ব) জনগোষ্ঠী ও গর্ভবর্তী নারীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স বিভাগের সদস্য সচিব ডা. মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ফাইজার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কার্যক্রমের প্রথম, দ্বিতীয় এবং বুস্টার ডোজ (৩য়, ৪র্থ ডোজ) বিতরণ এবং প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। শিগগিরই কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম শুরু করতে হবে।

নির্দেশনায় বলা হয়, প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকা শহরের ৮টি কেন্দ্রে বুস্টার ডোজ অর্থাৎ তৃতীয় এবং চতুর্থ ডোজ ফাইজার ভিসিভি (VCV) ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। কেন্দ্রগুলো হলো- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিডফোর্ড হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ফুলবাড়িয়া সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল।

পরবর্তীতে ধাপে ধাপে ঢাকার বিভিন্ন বিশেষায়িত ইন্সটিটিউট ও সরকারি হাসপাতাল, ঢাকার বাইরের সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং জেলা পর্যায়ের হাসপাতালসমূহে ভ্যাকসিন বিতরণের মাধ্যমে কোডিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে।কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে ফাইজার আরটিইউ (RTU) ভ্যাকসিন ব্যবহার করতে হবে। প্রাথমিকভাবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কোডিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল, মহাখালী এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নয়াবাজার ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালে এই টিকা প্রদান করা হবে।

ফাইজার ভিসিভি এবং আরটিইউ টিকার ডোজের পরিমাণ হবে ০.৩ এমএল (৬ ডোজের ভায়াল)। টিকা প্রদানের জন্য ব্যবহৃত সিরিঞ্জ হবে ০.৩ এমএল। আর দিতে হবে ডান বা বাম বাহুর উপরিভাগের ডেল্টয়েড মাংসপেশির মধ্যভাগে ৯০ ডিগ্রি কোণে। পরিবহণের তাপমাত্রা হবে +২০ থেকে ৮০ সেলসিয়াস। গলানোর তারিখ থেকে ৭০ দিন পর্যন্ত ২০ থেকে ৮০ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এই ভ্যাকসিন সরংক্ষণ এবং ব্যবহার করা যাবে। গলানো ভ্যাকসিন কোনোভাবেই পুনরায় জমানো যাবে না। ভায়াল খোলার ৬ ঘণ্টার মধ্যে ভ্যাকসিন ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

টিকা পরবর্তী বিরূপ প্রতিক্রিয়ার (AEFI) ক্ষেত্রে পূর্বে সরবরাহকৃত AEFI গাইডলাইনের নির্দেশনা মোতাবেক যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা পাবার প্রমাণস্বরূপ ভ্যাকসিনের নাম এবং তারিখ উল্লেখপূর্বক কোভিড-১৯ টিকাদান কার্ড সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে প্রদান করা হবে। তৃতীয় এবং চতুর্থ ডোজ টিকার ক্ষেত্রে সুরক্ষা ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপ থেকে টিকাকার্ড ডাউনলোড করে সাথে আনতে হবে; এমআইএস স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পূর্ব নির্ধারিত উপায়ে কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিনেশনের রিপোর্ট প্রদান করতে হবে।