18 January 2024 , 4:17:14 প্রিন্ট সংস্করণ
রাজধানীর রমনা ও পল্টন মডেল থানায় দায়ের করা নাশকতার পৃথক চার মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত জামিনের আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, ‘পৃথক দুই থানায় আট মামলার মধ্যে চার মামলায় জামিন পেয়েছেন আমীর খসরু। তবে অন্য চার মামলায় নথি না থাকায় শুনানি হয়নি। আশা করি, সংশ্লিষ্ট আদালতে মামলার নথি আসলে জামিন শুনানি হবে এবং তিনি জামিন পাবেন।এর আগে, দুপুর দেড়টার দিকে আমীর খসরুকে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে কারা কর্তৃপক্ষ।
তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। দুপুর ২টার দিকে সিএমএম আদালতের হাজতখানা থেকে তাকে এজলাসে নেওয়া হয়। এদিন, দুপুর দেড়টার দিকে আসামিকে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করেন কারা কর্তৃপক্ষ। এরপর তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। দুপুর ২টার দিকে সিএমএমের হাজতখানা থেকে আদালতের এজলাসে ওঠানো হয়।আমীর খসরুর পক্ষে আইনজীবী মহসিন মিয়া ও সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ জামিন চেয়ে শুনানি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধীতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রমনা থানার দুই ও পল্টন থানার দুই মামলায় জামিনের আদেশ দেন।গতকাল বুধবার আসামি পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ আসামির উপস্থিতিতে জামিন শুনানি করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট (পিডব্লিউ) ইস্যুর আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে আসামির প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেন এবং তার উপস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার জামিন শুনানির তারিখ ধার্য করেন।
ওই দিন পল্টন থানার দুই মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার সিএমএম আদালত।উল্লেখ্য, গত ২ নভেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে আমীর খসরুকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরদিন তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ৯ নভেম্বর রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।