6 December 2023 , 12:20:26 প্রিন্ট সংস্করণ
দ্বন্দ্ব থাকলেও শুধুমাত্র ‘বাংলাদেশ ইস্যুতে’ একই কাতারে চীন-ভারত। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে ক্রমাগত চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে বেশ আগে থেকেই সক্রিয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে ‘দাবা বোর্ডের’ ঠিক উল্টো মেরুতে চীন-ভারত। নিজেদের দ্বন্দ্ব থাকলেও শুধুমাত্র ‘বাংলাদেশ ইস্যুতে’ একই কাতারে শক্তিধর এই দুই দেশ। পাশাপাশি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকেও সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে সমানতালে।
এ নিয়ে তিন সুপার পাওয়ারের দ্বৈরথ বাড়ছে দিনকে দিন। আর ত্রিমুখী বেড়াজালে অস্থির হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের নির্বাচনী অঙ্গন। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে এমনই চিত্র তুলে ধরেছে আন্তর্জাতিক বিষয়াদি বিশ্লেষণের প্ল্যাটফর্ম ‘মডার্ন ডিপ্লোমেসি’।প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজেদের প্রভাব বিস্তারে চীনকে পেছনে ফেলতে নানাভাবেই চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
কিন্তু পরাশক্তির এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে বাংলাদেশও এখন ‘আটকা’ পড়েছে। এজন্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া কিংবা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে ক্রমাগত চাপ দিচ্ছে বাইডেন প্রশাসনসহ পশ্চিমারা।একই সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বৈরিতা নিরসনে ক্ষমতাসীন সরকারকে সংলাপের প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ক্ষমতাসীনরা রাজি থাকলেও জানুয়ারির ৭ নভেম্বর নির্বাচনী তফসিলের পর বন্ধ হয়ে যায় এই পথ। তবে সংলাপে বসতে আগ্রহী ছিল না বিএনপি।
এদিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার গেল এক দশকে সবচেয়ে বেশি ভারতের সমর্থন পেয়েছে। এর প্রমাণ মিলেছে সাম্প্রতিক ‘জি-২০’ সম্মেলন আর ‘টু প্লাস টু’ সংলাপে। কেননা দুটি অনুষ্ঠানেই বাংলাদেশকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের বার্তা স্পষ্ট করেছে নয়াদিল্লি। প্রতিবেশী দেশটির নির্বাচনে মার্কিনিদের নাক না গলাতে মোদির সরকার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বলেও ‘মডার্ন ডিপ্লোমেসি’র প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।
এছাড়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ‘অযাচিত’ চাপ নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করেছে চীন-রাশিয়া। তবে রাশিয়া-চীনের অবস্থান ভালোভাবে নিতে পারেনি বিএনপি। ফলে পশ্চিমা শক্তির উসকানিতেই গেল ২৮ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে দলটি।
কয়েক সপ্তাহের এসব সহিংসতায় আশঙ্কার ছায়া ফেলেছে নির্বাচনী মাঠে। যদিও অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে পুরোদমে এগোচ্ছে আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে হরতাল-অবরোধ ঘিরে বিএনপির এসব কর্মকাণ্ডকে নাশকতা হিসেবে চিত্রিত করছে ক্ষমতাসীন সরকার।