বিনোদন

কবর ধরে যদি সারাদিন বসে থাকতে পারতাম বললেন পরীমণি

কবর ধরে যদি সারাদিন বসে থাকতে পারতাম বললেন পরীমণি

ছোটবেলাতেই হারিয়েছেন বাবা-মাকে। ছেলে রাজ্য ছাড়া পরীমণির একমাত্র কাছের মানুষ ছিলেন মায়ের বাবা শামসুল হক গাজী। গত বৃহস্পতিবার রাত ২টা ১১ মিনিটে ঢাকার এক বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়াত হলেন পরীমণির ‘নানা’। তাঁকে কবরে শায়িত করতে পরী তাঁকে নিয়ে গেছেন তাঁর গ্রামের বাড়িতে। সেখান থেকেই ঢাকায় ফিরলেন অভিনেত্রী।

সম্প্রতি একমাত্র অভিভাবক ‘নানা’কে হারিয়েছেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী পরীমণি। প্রিয়জনের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ নায়িকা। কিছুদিন আগেই দাদুর মৃত্যু নিয়ে আবেগঘন পোস্ট করেছিলেন পরীমণি। মঙ্গলবার ফের ‘নানু’র কথা স্মরণ করে মন খারাপ অভিনেত্রীর। মঙ্গলবার ‘নানু’র কবরের ছবি পোস্ট করে পরী লেখেন, ‘শেষ গন্তব্য…আমার নানুর বাড়ি।

পরীমণি লেখেন, ‘এর আগে যত বার নানু বাড়ি গেছি, নিদিষ্ট তারিখেই ঢাকায় ব্যাক করেছি। বাড়ির সবাই দুই একদিন বেশি থেকে যেতে বলতো কতকরে! থাকা হয়নি…’। অভিনেত্রীর লেখেন তাঁর দুর্বলতার কথাও- ‘আর এখন মনে হচ্ছে নানুর কবর ধরে সারাদিন সারারাত যদি বসে থাকতে পারতাম!কিন্তু পারি না…

পরী লেখেন, ‘আমার পদ্মফুল কেবল নানুকে চিনতে শুরু করছিল। বড়আব্বু বলে ডাকতে শিখেছিল। এখন যদি কেউ ওকে বলে, তোমার বড় আব্বু কই? ওমনি এই যে বলে সাথে সাথে আঙ্গুল তুলে নানুর কবরটা দেখিয়ে দেয়’!

দাদুর জন্য সবাইকে প্রার্থনা করতে বলে অভিনেত্রী লেখেন, ‘পদ্ম কবরের ওপরে চুমু খায়, হাত বুলায়, ফু দেয়। আসার সময় হাত নেড়ে নেড়ে কত বার যে বলল “আব্বুটা বাই আব্বুটা বাই”! দোয়া করবেন। নানু জান্নাতের ফুলের সাথে থাকুক’।