লাইফ স্টাইল

বিপজ্জনক খাবার ভাত

ভাত খান না, এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কথায় বলে মাছ ভাতে বাঙালি। ফলে ভাতের প্রতি বাঙালির টান বরাবরের। কিন্তু এখনকার দিনে ডায়েটের জন্য অনেকেই ভাত খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন। তবুও ভাতের প্রতি দুর্বলতার জায়গাটা সবসময় থাকছে। অনেকেই রয়েছেন যে ৩ বেলাই ভাত থেয়ে থাকেন।

তিন বেলা ভাত খেলে অনেক সমস্যাতেই ভুগতে হতে পারে বলে সাবধান করছেন গবেষকরা।কী কী বিপদ হতে পারে : গবেষকদের মতে, আর্সেনিক শরীরে পৌঁছানোর পরে এই বিষাক্ত রাসায়নিক মানুষের মধ্যে ক্যানসার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিসসহ আরও অনেক মারাত্মক রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়।

সাধারণত আর্সেনিক রাসায়নিক মাটিতে পাওয়া যায়, যার কারণে এর কিছু প্রভাব মাটি থেকে জন্মানো খাদ্যদ্রব্যগুলিতেও আসে। কিন্তু ধানের ফসল বাকি ফসল থেকে ভিন্নভাবে জন্মায়।ধানে বেশি পানি ব্যবহার করা হয় এবং বেশি পানিতে নিমজ্জিত হওয়ার কারণে, আর্সেনিক পানিতে দ্রবীভূত হয় এবং ধানের ফসল এই বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যাপক মাত্রায় শোষণ করে।

এই কারণেই অন্যান্য জিনিসের তুলনায় চালে ১০ থেকে ২০ শতাংশ বেশি আর্সেনিক রাসায়নিক পাওয়া যায়।বেলফাস্টের কুইন্স ইউনিভার্সিটির প্রফেসর অ্যান্ডি মেহার্গের মতে, ভাতে উপস্থিত আর্সেনিক নামক বিষাক্ত রাসায়নিক আপনার কতটা ক্ষতি করবে, তাও নির্ভর করে আপনি কতটা ভাত খান তার ওপর।

অধ্যাপক অ্যান্ডি মেহার্গের মতে, সপ্তাহে একবার বা দুবার ভাত খেলে, স্বাস্থ্যের তেমন ক্ষতি হয় না। তবে ছোট বাচ্চাদের ভাত খাওয়া থেকে দূরে রাখাই ভালো।সতর্ক থাকবেন কীভাবে : প্রফেসর মেহার্গের মতে, আপনি যদি বেশি পানি ব্যবহার করে ভাত রান্না করেন অর্থাৎ ১ বাটি চালে ৫ বাটি পানি, তাহলে চালে উপস্থিত আর্সেনিক রাসায়নিকের মাত্রা কমাতে পারে।

এ ছাড়া আরও পানি কয়েক ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে ভাত রান্না করলে, তা চালে উপস্থিত আর্সেনিক রাসায়নিকের মাত্রা ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দেয়। এভাবে ভাত তৈরির এই কৌশলগুলো অবলম্বন করে ভাত খেয়েও নিজেকে নিরাপদ রাখতে পারেন।