জাতীয়

যদি বাইডেনের উপদেষ্টা হয়েই থাকেন তাহলে আমাদের প্রশ্ন আছে’

রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ ও বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক সংঘর্ষের পর শনিবার সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক রহস্যময় ব্যক্তিকে দেখা যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, গোলাপি রঙের শার্ট পরিহিত ওই ব্যক্তি ইংরেজি ভাষায় কথা বলছেন। নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা দাবি করা ওই ব্যক্তি সেই ভিডিও নিয়ে খবর প্রকাশ করলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। রোববার (২৯ অক্টোবর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘বিদেশি একজন নাকি এসে তাদের (বিএনপি) এগুলোর (সংঘর্ষ) সমর্থন করছে। আমরা এই বিদেশির পরিচয় জানি না। তিনি নাকি একজন আমেরিকান নাগরিক।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তার (আমেরিকান নাগরিক) সঙ্গে নাকি জো বাইডেনের সরাসরি কথা হয়।

এগুলো বলে তিনি বিএনপি নেতাদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন। তার কাছে আমরা জানতে চাই, বিএনপি নেতাদের সঙ্গে গোপন বৈঠকে কী কথা হয়েছে। তিনি যদি জো বাইডেনের উপদেষ্টা হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের প্রশ্ন আছে।তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসবের ব্যবস্থা নিচ্ছে। তারা নিশ্চয়ই যোগাযোগ করবেন।

তারপর আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।এর আগে শনিবার বিষয়টি নিয়ে বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা পরিচয়ে সাংবাদিকদের সামনে এক ব্যক্তির বক্তব্য দেয়ার বিষয়টি বিএনপির মহাসচিবের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে বিএনপি একেবারেই অবগত নয়।

পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালায়ে এলে সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হাসান সারওয়ার্দী দুই ব্যক্তিকে নিয়ে সেখানে আসেন এবং আহত নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে চান।

সাবেক এই উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা ও তার সঙ্গে থাকা দুই ব্যক্তি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে থাকা বিএনপির আহত নেতাকর্মীদের চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে থাকেন। একপর্যায়ে সেখানে থাকা মিডিয়ার সঙ্গে তারা কথা বলতে চান। একজন সাবেক ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা বা চার তারকার অধিকারী সাবেক জেনারেলের সম্মানেই তাদের পাশে বসেন ইশরাক।

ইশরাক হোসেন বলেন, কথা বলার আগপর্যন্ত তার পরিচয়, অর্থাৎ নিজেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেয়া ব্যক্তিটি সম্পর্কে তিনি কিছুই জানতেন না। আর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় তাদের পাশে বসা ছাড়া তার প্রত্যক্ষ কোনো অংশগ্রহণ ছিল না।

আরও খবর

Sponsered content