রাজনীতি

সরকারের ডুবতে আর বেশি দেরি নেই বললেন রিজভী

গণদাবি মেনে আওয়ামী লীগ সরকার অবিলম্বে পদত্যাগ না করলে তাদের পতন খুব সুখকর হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বুধবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি এবং প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দল ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাদের উদ্যোগে এই কর্মসূচি হয়।রিজভী বলেন, এইবারও উনি (প্রধানমন্ত্রী) মনে করেছেন- ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নিশিরাতের নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি হবে। কিন্তু ওই ধরনের নির্বাচন আর সম্ভব নয়; গোটা পৃথিবীর মানুষ যারা গণতন্ত্রকে ভালোবাসে, যারা বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাস করে- প্রত্যেকেই এখন জেগে উঠেছে। এই সরকার রক্ত চুষে নিচ্ছে বাংলাদেশের জনগণের।

এইবারই তাদের শেষ সুযোগ ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার আর তা না হলে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন খুব সুখকর হবে না। জনগণ তাদের ক্ষমতা থেকে টেনে নামাবে।ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আপনারা নিশিরাতে নির্বাচন করেন, নিশিরাতে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে দরজা ভেঙে তুলে নিয়ে যান, তলে তলে আপস করেন। এসব করতে করতে আপনাদের এখন পতনে ডুবে যাওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আপনাদের ডুবতে আর বেশি দেরি নেই।

বিএনপির এই নেতা বলেন, উনারা বলেন- আমরা জনগণকে এতকিছু দিয়েছি, উন্নয়ন দিয়েছি, বিদ্যুৎ দিয়েছি। জনগণ জানতে চায়, আপনারা কোথা থেকে দিয়েছেন? ওই টাকা তো জনগণ যে কর দেয় সেই টাকা। সরকারের উন্নয়ন হচ্ছে ফাঁপা, তাদের উন্নয়ন হচ্ছে লুটতন্ত্রের উন্নয়ন, তাদের উন্নয়ন হচ্ছে ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ যত লীগ আছে সেইসব লীগকে বিদেশে বাড়ি করে দেওয়ার উন্নয়ন, বেগমপাড়া বানানোর উন্নয়ন। জনগণের টাকা যারা লুট করে তারা কখনো জনগণের শাসক হতে পারে না।

এর আগে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে পলওয়েল মার্কেট হয়ে ফকিরাপুল মোড় ঘুরে পুনরায় নয়াপল্টন বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, যুবদলের সাবেক নেতা তারিক উজ জামান, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনাম, উত্তরের আহ্বায়ক শরিফ উদ্দিন জুয়েল, কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, সাবেক ছাত্রদল নেতা মাহবুব সিকদার প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

%d bloggers like this: