শিক্ষা

আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের চার বছর

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের চার বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে নৃশংসভাবে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (৭ অক্টোবর) বাদ আসর বুয়েটের শেরেবাংলা হলে আবরার ফাহাদের জন্যে দোয়া ও স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সংগঠন স্মরণসভাসহ নানা আয়োজন করেছে।

২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর বাংলাদেশ-ভারতে হওয়া চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ।

এর জের ধরে ৬ অক্টোবর রাতে আবরারকে তার কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। তারা ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে গিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে।

পরে রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় সব মিলিয়ে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর চার্জশিট তৈরি করে ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশ।

এরপর ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। এর মধ্যে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ ছাড়া পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের চার বছর বুয়েটের শিক্ষার্থীরা রাজনীতিতে অংশ নিতে পারবেন না আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভ হয়।

এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে সমাজের নানা শ্রেণিপেশার মানুষও সোচ্চার হন। এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েট কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনৈতিক সংগঠন এবং ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।

১৯৯৮ সালের ১৩ মে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আবরার ফাহাদ। আবরার প্রথমে কুষ্টিয়া মিশন স্কুল ও জেলা স্কুলে লেখাপড়া শেষ করে ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ তিনি বুয়েটে ভর্তি হন।

এদিকে, আবরারকে স্মরণে রাখতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের সামনে ‘আবরার ফাহাদ স্মৃতিফলক’ নির্মাণ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) এ স্মৃতিফলকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার।

শেরেবাংলা হলের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের অর্থায়নে এ ফলক করা হচ্ছে।