আন্তর্জাতিক

এবার আরও এক দেশে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে জল্পনা শেষ হচ্ছে না। এবার আরও একটি দেশে ভিসা বিধিনিষেধ ঘোষণা করল দেশটি। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ লাইবেরিয়ায় ভিসা বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।লাইবেরিয়ায় আগামী মাসেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগেই গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্ন করার জন্য এই ভিসা বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাইবেরিয়ায় ভিসা বিধিনিষেধ ঘোষণা করে বিবৃতি দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।

তবে কতজনের বিরুদ্ধে এই ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে বা কাদের বিরুদ্ধে এটি প্রয়োগ করা হয়েছে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।যারা এই ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় পড়বেন তারা যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের সুযোগ পাবেন না বা তাদের ভ্রমণের ক্ষমতা সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে। অবশ্য সর্বশেষ ঘোষিত এই নীতিটি লাইবেরিয়ার জনগণ বা সরকারকে লক্ষ্য দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ব্লিংকেন।

তিনি বলেছেন, মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞাগুলোতে এমন লোকদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে যারা লাইবেরিয়ার গণতন্ত্রকে দুর্বল করার জন্য দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার কারসাজি বা কারচুপি; সহিংসতার ব্যবহার ….; বা নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করার জন্য অন্য কোনো কার্যকলাপে জড়িত হওয়া।

রয়টার্স বলছে, যুক্তরাষ্ট্র গত বছর লাইবেরিয়ার তিনজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ অপব্যবহারের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। ওই ব্যক্তিদের মধ্যে লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়েহের চিফ অব স্টাফ ন্যাথানিয়েল ম্যাকগিলও ছিলেন।মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর প্রেসিডেন্ট ওয়েহ অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করেন।

যদিও তারা কোনো ধরনের অন্যায় করার কথা অস্বীকার করেছিলেন।লাইবেরিয়ায় আগামী অক্টোবর মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আসন্ন এই নির্বাচনে সাবেক ফুটবল তারকা প্রেসিডেন্ট ওয়েহের জনপ্রিয়তার পরীক্ষা হবে। মূলত রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার অভাব সত্ত্বেও কিছু উন্নতি করতে পারেন এমন আশা দেখিয়ে ওয়েহ ক্ষমতায় এসেছিলেন।