বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

বিরাট টেলিস্কোপ পৃথিবীতে নজর রাখতে চাঁদের মাটিতে বসছে

রাস্তায় চলতে চলতে নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন চাঁদও আপনার সঙ্গে হেঁটে চলেছে, একটুও ক্লান্ত না হয়ে। চোখ দু’টো আকাশের দিকে তুললেই দেখতে পান, চকচক করছে চাঁদের আলো। পৃথিবী থেকে চাঁদের দিকে নজর রাখার সব রকম পরিস্থিতি বিজ্ঞানীরা করে ফেলেছেন। কিন্তু এবার যদি উল্টো হয়?

চাঁদ থেকে আপনার দিকে সব সময় নজর রাখা হয়, তাও আবার টেলিস্কোপের সাহায্যে? কেমন হবে বলুন তো? বুঝতে পারছেন না তো? মহাকাশ প্রেমীদের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস হল একটি টেলিস্কোপ, যার সাহায্যে সৌরজগতে ঘটে যাওয়া যে কোনও ঘটনাকে দেখা যাবে। এবার সেই টেলিস্কোপ বসতে চলেছে চাঁদে।

এতদিন জেনে এসেছেন, যে কোনও বড় টেলিস্কোপ প্রায়ই পাহাড়ের উচ্চতায় ইনস্টল করা হয়। অনেক মহাকাশ সংস্থা তাদের টেলিস্কোপও মহাকাশে পাঠায়। কিন্তু এবার বসানো হবে চাঁদের পৃষ্ঠে। আকারে হবে বিশাল। বলা যেতে পারে, এর আগে কখনও এক বড় টেলিস্কোপ বানানো হয়নি। অনেক বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন একটি অপটিক্যাল টেলিস্কোপ চাঁদের ভূখন্ডে বসানোর পরিকল্পনা করছে নাসা।

arXiv- এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, চাঁদে একটি টেলিস্কোপ ইনস্টল করলে, তা বিজ্ঞানীদের কাজকে আরও অনেক সহজ করে দেবে। চাঁদের পৃষ্ঠে কোনও সাধারণ টেলিস্কোপ বসবে না। গবেষকদের মতে, সেখানে গবেষণার জন্য হাইপারটেলিস্কোপ বা রেডিও টেলিস্কোপ বসানো হবে। এ ছাড়া চাঁদের মেরুতে লাইফ ফাইন্ডার টেলিস্কোপও স্থাপন করা যেতে পারে। এর ফলে সৌরজগতের বাইরের গ্রহগুলির বায়ুমণ্ডল অধ্যয়ন করতে পারবে মহাকাশচারীরা।

গবেষকরা তালিকায় অনেক ধরনের টেলিস্কোপ রেখেছেন। তারই মধ্যে একটি হল লুনার অপটিক্যাল ইউভি এক্সপ্লোরার ধারণা, যা অতিবেগুনী রশ্মির উপর ফোকাস করবে। অর্থাৎ মহাকর্ষীয় তরঙ্গ পর্যবেক্ষণ করার সঙ্গে সঙ্গে কোন গ্রহে অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাব কেমন, তা পরীক্ষা করবে। যদিও বর্তমানে পৃথিবী নিজেই এই অতিবেগুনী রশ্মির চ্যালেঞ্জে রয়েছে।

বিজ্ঞানীরা একটি অপটিক্যাল টেলিস্কোপের কল্পনা করেছেন। সেটি চাঁদের ভূখণ্ডের মধ্যে স্থাপন করা হবে। একটি অপটিক্যাল টেলিস্কোপের শক্তি ও আকার অন্য সব টেলিস্কোপের থেকে অনেক বেশি হবে। তবে কবে এই মিশন শুরু হবে, সেই বিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

আরও খবর

Sponsered content

%d bloggers like this: