মাহমুদ শরীফ :
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পৌর শহরের ঝাউতলায় ছোট কলা দোকানী মাসুদ রানা। জন্ম থেকেই পায়ে হাঁটতে পারেন না। মায়ের কোল ছেড়ে যখন মাটি স্পর্শ করেছে তখন থেকেই মাসুদ রানা বুঝতে পেরেছে অন্য সব শিশুর মতো তার চলাফেরা স্বাভাবিক না। তারপর শিশুকাল কেটেছে, কৈশোর পেরিয়ে যৌবনের শেষ বেলায় এসে মাসুদ বুঝতে পারছে তার দ্বারা এখন আর হাঁটুতে ভর করে চলাফেরা করা সম্ভব না।
পৌর শহরের ঝাউতলার বাসিন্দা মাসুদ রানা ব্যাক্তি জীবনে সাদা মনের মানুষ। সে ইচ্ছে করলেই মানুষের কাছে হাত পেতে চলতে পারতো, কিন্তু মাসুদ রানা তা না করে ছোট কলার দোকান দিয়েছে। এতে যে আয় হয় তা দিয়ে কোনরকম ডাল-ভাত খেয়ে দিন পার করে সে। মাসুদের এই কষ্টের জীবনে একটা হুইল চেয়ার থাকলে চলাচলে খুবই সুবিধা হতো।
এই বিষয়ে এক প্রতিবেশী বলেন, মাসুদ রানার চলাচলে খুব কষ্ট হয়। আমাদেরও তার চলাচল দেখে খারাপ লাগে। সমাজে যাদের সামর্থ আছে সহযোগীতা করার তারা সহযোগিতা করলে মাসুদের চলাচলে কিছুটা হলেও কষ্ট কমে আসবে। কলা দোকানী মাসুদ রানার চলাচলে যে কষ্ট হয় সেই কষ্ট কিছুটা হলেও কমে আসবে যদি একটা গাড়ী থাকতো। সমাজের মধ্যে এখনো মানবতা মরেনি, বেঁচে আছে। অবশ্যই কেউ না কেউ হাত বাড়িয়ে দেবে মাসুদ রানার জন্য এমন প্রত্যাশা ঐ প্রতিবেশীর।
মাসুদ রানা যৌবনের শেষ বেলায় এসে খুব চুপিসারে সামান্য একটা আবেদন করেছেন এই সমাজের মানুষের কাছে। চলাচলের জন্য প্রয়োজন একটা গাড়ি হুইল চেয়ার । এই সামান্য চাওয়া পাওয়াতেই মাসুদ রানার চলাচলে ফিরে আসবে স্বাভাবিকতা। সমাজের কোন ব্যক্তি বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মাসুদের এই অসহায়ত্ব ঘোচাতে ৮/১০ হাজার টাকার একটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করবেন কী?
Like this:
Like Loading...