পরিবেশ

কুষ্টিয়ার সড়কগুলোর পাশে বাস ও ট্রাক পার্কিং-এর কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা

কুষ্টিয়ার সড়কগুলোতে অবৈধভাবে বাস ও ট্রাক পার্কিং করায় ঘটছে প্রাণহানি ও দুর্ঘটনা। এতে পঙ্গুত্ব বা স্বজন।হারাচ্ছেন পরিবার।   বাসের ডিপো থাকা স্বত্বেও সড়কের পাশে কিছু বাসসহ ঢাকাগামী কোচগুলো রাস্তার পাশে রেখে মেরামত, ধোয়া মুছার কাজ করায়  প্রতিদিন যানজট লেগেই থাকে ব্যস্ত সড়কগুলোতে। এ বিষয়ে প্রশাসনের নজর একেবারেই নেই বলে জানান সড়ক দিয়ে চলাচলকারীরা।

সরেজমিনে দেখা যায় শুধু কুষ্টিয়া শহরই না দৌলতপুর, খোকসা, কুমারখালী, মিরপুরের সড়কগুলোতে এ ধরনের চিত্র প্রতিদিনের। সড়ক দখল করে গ্যারেজ ব্যবসা, দীর্ঘ সড়ক জুড়ে দুইপাশ দখল করে ছোট বড় গাড়ি পার্কিং করে মেরামতের কাজ করছে। ফলে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে যানজট ও বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি। ইতোমধ্যে এসব এলাকায় ইউপি সদস্য, পুলিশ সদস্য, বিএনপির নেতা, রিক্সা চালক, মোটর সাইকেল চালক এবং শিশুসহ বেশ কয়েকজন সড়ক দুর্ঘটনায় দিয়েছেন তরতাজা প্রাণ।

স্থানীয়রা বলেন হেলাল বহু গ্যারেজ মালিক সড়কের উপরেই গাড়ি মেরামতের কাজ করে আসছে। ফলে সড়কপথে চলাচলরত যানবাহন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। বিষয়টি প্রশাসনের চোখের সামনে ঘটলেও দীর্ঘদিন ধরে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারা বলছেন, বারবার অভিযোগ করার পরও দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন নেই। সাধারণ মানুষের দাবি, এইসব গ্যারেজ অবিলম্বে সড়ক থেকে সরিয়ে নির্ধারিত স্থানে স্থানান্তর করতে হবে। অন্যথায় প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকা দুর্ঘটনা একসময় ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। নিরাপদ সড়কের স্বার্থে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবি তাদের

কুমারখালী পৌর টার্মিনালে বাস খুব একটা বেশি না না থামলেও পাশে ৫০ মিটার পশ্চিমে শুরুতেই যাত্রী উঠাা নামা চলছে। টার্মিনাল কোন কাজে আসছেনা। আবার যত্রতত্র চাঁদা উঠানোর চিত্রও চোখে পড়ে সব সময়।

কুষ্টিয়া বাস মালিক সমিতির সভাপতি আক্তার হোসেন বলেন- রাস্তার দুই পাশে গাড়ী রাখার কোন নিয়ম নেই। তাদের এখান বাস রাখা ও মেরামতের জন্য ডিপো আছে। বাস চালকদের সেখানে গাড়ি না পার্কিং করার নির্দেশ দেওয়া আছে। নিষেধ থাকা স্বত্বেও কিছু কিছু গাড়ী চালক সড়কের দুই পাশে গাড়ী রেখে মেরামত ও পরিস্কার করেন। বিষয়টি দুঃখজনক।

এ বিষয়ে হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন জানান, রাস্তার পাশে গাড়ী পার্কিং করে মেরামত করছে এ ধরনের গাড়ীগুলো প্রতিদিনই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে শহরের বিষয়গুলো একটু আলাদা। এগুলো দেখভালের দায়িত্বে জেলা পুলিশ ও পৌরসভা ।

 

আরও খবর

Sponsered content