বিনোদন

মুনিয়া হত্যা ন্যায়বিচারে বাধা দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা বললেন নুসরাত তানিয়া

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর গুলশানে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়া হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচারে বাধা দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত তানিয়া। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন তিনি।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টার কাছে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন তানিয়া। মুনিয়ার বড় বোন অভিযোগ করেন, বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবাহানসহ হত্যায় জড়িতদের প্রতি প্রভাবিত হয়ে ছাড় দিয়েছেন তদন্তকারীরা। মামলার আইনজীবী অভিযোগ করে বলেন, রাষ্ট্র, তদন্তকারী কর্মকর্তা এমনকি আদালতকেও ম্যানেজ করে মামলা থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন সায়েম সোবাহান।

শুধু তাই নয়, মামলা উঠিয়ে নেয়ার জন্য বিভিন্ন সময় সায়েম সোবাহান ও তার অনুসারীরা তাকে টাকার প্রলোভন দিয়েছেন।  মামলার তদন্তকারী কারা কারা ঘুষ নিয়ে মামলাকে প্রভাবিত করতে সহায়তা করেছে তাও খুঁজে বের করার আহ্বান জানান আইনজীবী। নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে মামলা পুনঃতদন্তেরও দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২৬ এপ্রিল গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রী মুনিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ফ্ল্যাটে মুনিয়া একাই থাকতেন। তিনি একটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী ছিলেন। মৃত মুনিয়া কুমিল্লা সদরের দক্ষিণপাড়া উজিরদিঘি এলাকার মৃত শফিকুর রহমানের মেয়ে।

ওই রাতেই তার বড় বোন নুসরাত বাদী হয়ে গুলশান থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করেন। এতে ওই বছরের জুলাইয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ। ওই বছরের ১৮ আগস্ট পুলিশের দেয়া ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করেন ঢাকার সিএমএম আদালত। আদালতের আদেশে মামলা থেকে অব্যাহতি পান একমাত্র আসামি সায়েম সোবহান।

পরে মুনিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে বোন নুসরাত জাহান ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর ৮ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এ নালিশি মামলা করেন। সেখানে সায়েম সোবহান আনভীরসহ ৮ জনকে আসামি করা হয়। এটি আমলে নিয়ে আদালত গুলশান থানা পুলিশকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন।

আরও খবর

Sponsered content