9 July 2024 , 7:26:54 প্রিন্ট সংস্করণ
গর্ভাবস্থায় বেশিরভাগ হবু মায়েরা পিঠ এবং কোমর ব্যথার সমস্যায় ভোগেন। এই ধরনের ব্যথা এই সময়টাকে অনেক বেশি কষ্টের করে তোলে। সময় মতো এই সমস্যার সমাধান করতে না পারলে অন্তঃসত্ত্বার ৯ মাসের জার্নি দুর্বিষহ হয়ে উঠতে পারে। ব্যথা হলে অনেকেই পেইন কিলার খাওয়া শুরু করেন। এতে ভ্রুণের ক্ষতি হয়। তাই সহজ কিছু ব্যায়াম দিয়েই জব্দ করুন কোমরে ব্যথাকে। আজ সেরকমই কিছু আসনের কথা জানবো।
উৎকট কোণাসন
হিপ জয়েন্ট এবং পেলভিক অঞ্চলের পেশীকে স্ট্রেচ করে আরাম দেয় এই আসন। তাই অন্তঃসত্ত্বা নারীরা নিয়মিত ৫ মিনিট এই আসন করলে কোমরে ব্যথা দূরে পালাবে।
১. এর জন্য প্রথমে দু’পায়ের মাঝে বেশ খানিকটা ফাঁক রেখে দাঁড়ান।
২. দুই পায়ের পাতা থাকবে দুদিকে মুখ করা।
৩. এরপর অল্প খানিকটা বসতে হবে। এই সময় হাঁটুও ভাঙবে কিছুটা।
৪. হাত থাকবে নমস্কারের ভঙ্গিতে। এইভাবে ৫ মিনিট এই আসন করলেই কোমরে ব্যথা থেকে অনেকটা আরাম পাবেন অন্তঃসত্ত্বা নারী।
মার্জারাসন
অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জন্য খুবই উপকারী এই আসন। জরায়ু ও পেলভিক অঞ্চলের মধ্যে সংযোগকারী লিগামেন্টকে স্ট্রেচ করে এবং সাপোর্ট দেয় এই আসন। ফলে কোমরে ব্যথাও দূরে পালায়। তাই গর্ভবতী নারীদের শরীরচর্চার রুটিনে এই আসনটিকেও জায়গা করে দিতে হবে।
কীভাবে করবেন এই আসন?
১. এই আসন করার জন্য প্রথমে হাত এবং হাঁটুর ওপর ভর দিয়ে উপুড় হয়ে ঘোড়ার মতো পশ্চারে আসুন।
২. এরপর ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে নিতে মাথা সিলিংয়ের দিকে তুলুন। এই সময় পেট নামবে মেঝের দিকে।
৩. তারপর আবার ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে মাথা নিচের দিকে নামান। এই সময় থুতনি ঠেকবে বুকের কাছে। আর পিঠ উঠবে সিলিংয়ের দিকে। এভাবে নিয়মিত এই আসন করলে কোমরে ব্যথায় আর নড়াচড়া বন্ধ হবে না অন্তঃসত্ত্বা নারীদের।
বলাসন
কোমরে ব্যথা থেকে আরাম দিতে পারে বলাসনও। এছাড়া এই আসন স্ট্রেস এবং উদ্বেগ কমিয়ে মন শান্ত করতেও সিদ্ধহস্ত। তাই রোজকার রুটিনে অবশ্যই রাখুন বলাসন। কী ভাবে করবেন? জেনে নিন এখনই—
১. প্রথমে মেঝেতে হাঁটু ভাঁজ করে বসুন। পায়ের পাতা থাকবে মাটির সঙ্গে লাগানো। হিপ জয়েন্ট থাকবে পায়ের পাতার উপর।
২. এর পর সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ুন। নাক ঠেকবে মেঝেতে। আর হাত থাকবে সামনে মেঝের উপর ছড়ানো।
৩. এইভাবে ২-৩ মিনিট থাকতে হবে। পুনরায় আগের জায়গায় ফিরে আসুন। আবার একইভাবে বলাসন করুন। নিয়মিত ৩-৪ বার এই আসন করলেই কমবে কোমরে ব্যথা।পর আবার এই সময় মহিলাদের দৈহিক ওজন অনেকটাই বেড়ে যায়। সঙ্গে দেহের সেন্টার অফ গ্র্যাভিটিতেও পরিবর্তন আসে। যে কারণে পিঠে ও কোমরে ব্যথায় কষ্ট পান অন্তঃসত্ত্বা নারীরা।