লাইফ স্টাইল

যে ৮ অভ্যাস চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে

লম্বা চুল ভালোবাসেন অনেকেই। জেনেটিক্স চুলের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস আয়ত্ত করা এবং সঠিক পণ্য ব্যবহার করা চুলের বৃদ্ধি বাড়িয়ে দিতে পারে। শুধু তাই নয়, অভ্যাসগুলো অনুশীলন করলে মজবুত ও প্রাণবন্ত হবে চুল।

১। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুন
চুলের বৃদ্ধির জন্য সঠিক পুষ্টির প্রয়োজন। ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ সুষম খাবার খাওয়া চুলের বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চুল প্রধানত কেরাটিন নামক প্রোটিন দিয়ে তৈরি। তাই ডিম, মাছ, চর্বিহীন মাংস এবং শিম জাতীয় উত্স থেকে যথেষ্ট প্রোটিন গ্রহণ করা জরুরি। পাশাপাশি বায়োটিন বা বি ভিটামিনও চুলের বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। বায়োটিন সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে বাদাম, বীজ, মিষ্টি আলু এবং পালং শাক। আয়রনের অভাবে চুল পড়তে পারে। আপনার খাদ্যতালিকায় আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যেমন লাল মাংস, মটরশুঁটি, মসুর ডাল অন্তর্ভুক্ত করুন। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের ফলিকলকে পুষ্ট করতে সাহায্য করে। মাছ, আখরোট, ফ্ল্যাক্সসিড এবং চিয়া বীজ থেকে ওমেগা ৩ মিলবে।

 

২। নিয়মিত মাথার ত্বক ম্যাসেজ করুন
মাথার ত্বক ম্যাসাজ করলে রক্ত ​​সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, যা চুলের ফলিকলগুলোতে আরও পুষ্টি সরবরাহ করতে সাহায্য করে। এতে চুল দ্রুত বাড়ে। প্রতিদিন কয়েক মিনিটের জন্য মাথার ত্বক আলতোভাবে ম্যাসেজ করুন। নারকেল তেল, ক্যাস্টর অয়েল বা রোজমেরি তেলের মতো তেলও ব্যবহার করতে পারেন ম্যাসাজ করার সময়।

 

৩। চুলের জন্য সঠিক পণ্য ব্যবহার করুন
সঠিক শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। সালফেট এবং প্যারাবেনমুক্ত পণ্য ব্যবহার করবেন চুলে। কারণ এগুলো চুলের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট করে দেয়। প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে এমন পণ্য বেছে নিন।

 

৪। হিট স্টাইলিং সরঞ্জাম এড়িয়ে চলুন
ব্লো ড্রায়ার, স্ট্রেইটনার এবং কার্লিং আয়রনের মতো হিট স্টাইলিং সরঞ্জামগুলোর অতিরিক্ত ব্যবহার চুলের ক্ষতির অন্যতম কারণ। এগুলো চুলের বৃদ্ধিকে ধীর করে দিতে পারে। এই ধরনের সরঞ্জামের ব্যবহার সীমিত করার চেষ্টা করুন এবং স্টাইল করার আগে অবশ্যই তাপ রক্ষাকারী স্প্রে প্রয়োগ করুন। চুলকে প্রাকৃতিকভাবে বাতাসে শুকাতে দিন।

 

৫। নিয়মিত চুলের আগা ছাঁটা
নিয়মিত ছাঁটা চুল দ্রুত বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। চুল ট্রিম করলে আগা ফাটার ঝুঁকি কমে। ফলে চুল ভঙ্গুর হয় না সহজে ও মজবুত থাকে। প্রতি ৮ থেকে ১০ সপ্তাহে একবার চুলের আগা ছেঁটে ফেলুন।

 

৬। হাইড্রেটেড থাকুন
চুলের স্বাস্থ্যসহ সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য হাইড্রেশন অপরিহার্য। চুলকে ভেতর থেকে হাইড্রেট রাখতে সারাদিন পর্যাপ্ত পানি খান। সঠিক হাইড্রেশন মাথার ত্বক এবং চুলের ফলিকলগুলোকে সঠিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করে।

 

৭। সিল্কের কাভার ব্যবহার করুন বালিশে
সিল্কের বালিশে শোয়ার অভ্যাস করুন। এতে ঘুমানোর সময় চুলের সঙ্গে ঘর্ষণের ফলে চুল ভেঙে যাওয়া রোধ করা সম্ভব হবে। সিল্কের কাভার চুল মসৃণ, জটমুক্ত এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে।

 

৮। অতিরিক্ত ধোবেন না চুল
চুল খুব ঘন ঘন ধোয়ার ফলে চুলের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়ে যেতে পারে, যার ফলে দেখা দেয় শুষ্কতা। এতে চুল দ্রুত ভেঙে যায়। চুলের ধরনের উপর নির্ভর করে সপ্তাহে ২-৩ বার ধোবেন চুল। চুল ধোয়ার সময় গরম পানির পরিবর্তে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন।

%d bloggers like this: