24 April 2024 , 11:34:10 প্রিন্ট সংস্করণ
মৌসুমের শেষ এল ক্লাসিকোও ছড়াল বিতর্ক। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা গত রোববার (২১ এপ্রিল) মুখোমুখি হয়েছিল লা লিগার খেলায়। রিয়ালের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দুইবার এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা ৩-২ ব্যবধানে হারে বার্সেলোনা। এই হারে কার্যত লিগের শিরোপা দৌড় থেকে পুরোপুরি ছিটকে গেছে কাতালানরা।তবে এই হারকে স্বাভাবিকভাবে নেয়নি বার্সা।
ম্যাচের কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিজেদের বিরুদ্ধে যাওয়াকে ‘অবিচার’ বলে আখ্যায়িত করেছেন কোচ জাভি হার্নান্দেজ।চলতি মৌসুমে লা লিগার একমাত্র দল হিসেবে প্রতিপক্ষের মাঠে অজেয় ছিল বার্সেলোনা। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচে হারতে হয়েছে তাদের। অথচ ম্যাচের ৬ মিনিটেই আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেনের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল কাতালানরা।
তবে ১৮ মিনিটে পেনাল্টি পায় রিয়াল। রিয়ালের লুকাস ভাসকেস ডি-বক্সে পড়ে গেলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পটকিক থেকে রিয়ালকে সমতায় ফেরান ভিনিসিউস জুনিয়র। তবে সেই পেনাল্টিকে যৌক্তিক হিসেবে মেনে নিতে পারেনি বার্সেলোনার কোচ জাভি থেকে শুরু করে সমর্থকরা।তবে আরও বড় বিতর্কের জন্ম হয় ২৮ মিনিটে।
রাফিনিয়ার একটি শট রিয়ালের গোলরক্ষক লুনিন ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে ইয়ামাল কাছের পোস্টে ফ্লিক করেন। তবে বলটি শেষ পর্যন্ত লুনিন ঠেকিয়ে দেন। কিন্তু তার আগেই বলটি পুরোপুরি গোললাইন পার হয়ে গেছে কি-না তা নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। লা লিগায় গোললাইন টেকনোলজি না থাকায় ভিএআরের দ্বারস্থ হন রেফারি।
টেলিভিশনে ক্যামেরার বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল দেখে জানানো হয় গোল হয়নি।তবে কাতালান শিবিরের দাবি, বলও পুরোপুরিভাবেই রিয়ালের গোললাইন পার হয়েছিল। এই দাবি থেকে এখনও সরে আসেনি তারা। এমনকি বার্সেলোনার প্রেসিডেন্ট হুয়ান ল্যাপোর্তা তো এই ম্যাচটি পুনরায় আয়োজনের দাবিও জানিয়েছেন।
লামিনে ইয়ামালের সেই ফ্লিক গোললাইন অতিক্রম করেছিল কি-না তা নিয়ে বলতে গেলে ফুটবলবিশ্ব এখন দুই শিবিরে বিভক্ত। এদিকে ফরাসি টেলিভিশন চ্যানেল ক্যানাল প্লাস ও কাতারের বিইন স্পোর্টস অ্যারাবিয়া প্রযুক্তির ব্যবহার করে গোলটি নাকচ করে দিয়েছে। ক্যানাল প্লাসের প্রযুক্তি নিশ্চিত করেছে যে, লামিন ইয়ামালের করা গোলটি গোল লাইন অতিক্রম করেনি।
অন্যদিকে, বিইন স্পোর্টস অ্যারাবিয়া ৩টি ভিন্ন অ্যাঙেল থেকে থ্রিডি রিঅ্যাকশন বিশ্লেষণ করে তাদের সিদ্ধান্ত জানায়।স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনও ইয়ামালকে গোল না দেওয়ার একটা ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। সেই ব্যাখ্যা অবশ্য কোনো মন্তব্য বাঁ বিবৃতির মাধ্যমে দেয়নি তারা। ভিএআরের অডিও প্রকাশ করে বোঝাতে চেয়েছে, কেন গোলটি দেয়া হয়নি।
এফএ প্রকাশিত সেই অডিওতে ভিএআর রেফারি সানচেজ মার্তিনেজ মাঠের রেফারি সোতো গার্দোকে বলছিলেন, ‘বল যে পুরোপুরি (গোলের) ভেতরে ঢুকেছে, এর কোনো প্রমাণ নেই।এদিকে ফিফার আইনের ১০ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘যদি একজন গোলরক্ষক বল শূন্যে থাকাকালীন গোল লাইনে পেছনে সেভ করেন, বল যদি মাটিতে স্পর্শ না করে আর শতভাগ লাইন অতিক্রম না করে, তবে সেটা গোল বলে বিবেচিত হবে না।