3 April 2024 , 12:56:25 প্রিন্ট সংস্করণ
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ী গ্রামে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের ছয়জনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার দায়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) তিনজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এছাড়া এ ঘটনায় এক কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বিষয়টি বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে পল্লী বিদ্যুতের মৌলভীবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক এ বি এম মিজানুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া দুই কর্মকর্তা হলেন-পূর্ব গোয়ালবাড়ী এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে থাকা পল্লী বিদ্যুতের বড়লেখা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক সোহেল রানা চৌধুরী, সহকারী মহাব্যবস্থাপক আশরাফুল হুদা ও জুড়ী কার্যালয়ের ইনচার্জ রেজাউল করিম তালুকদার। চাকরিচ্যুত কর্মচারী হলেন- শিক্ষানবিশ লাইনম্যান মো. আশিক।
এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুতের মৌলভীবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক এ বি এম মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে জানান, এ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আরইবির পক্ষ থেকে প্রধান প্রকৌশলী বিশ্বনাথ শিকদারকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
কমিটির সদস্যরা সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করেন। কমিটির সদস্যদের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে চার কর্মকর্তা- কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তিনি আরো জানান, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক একরামুল হাসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে চার কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানানো হয়
।জানা যায়, উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ী গ্রামে রহমত আলী নামের এক ব্যক্তির জমিতে একটি টিনের ঘর বানিয়ে বাক্প্রতিবন্ধী দিনমজুর ফয়জুর রহমান (৫০) পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পাঁচ-ছয় বছর ধরে থাকতেন।
তাঁর ঘরের ওপর দিয়ে টানানো ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ লাইন ছিল।গত ২৬ মার্চ ভোরে বসতঘরের উপর ঝড় ও বজ্রপাতে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে টিনের পুরো ঘরটি বিদ্যুতায়িত ওই পরিবারের পাঁচ সদস্য ফয়জুর রহমান (৫০), তার স্ত্রী শিরি বেগম (৪৫), মেয়ে সামিয়া (১৫ ), সাবিনা (০৯) এবং একমাত্র ছেলে সায়েম উদ্দিন (৭) ঘটনাস্থলেই মারা যান।
পরেরদিন এ ঘটনায় আহত ফয়জুর রহমানের ছোট মেয়ে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সোনিয়া আক্তার (৮) ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যান।