সারা দেশ

ফেসবুকে হা হা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ১০ দোকান ভাঙচুর

ফেসবুকে হা হা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ১০ দোকান ভাঙচুর

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ফেসবুকে হা হা রিয়্যাক্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আটজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ১০টি দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে।সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক শহরের লোকাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কিশোর গ্যাংদের দুই পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বলে স্থানীয়রা জানায়। খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ও র‍্যাব সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এসময় ৭/৮ জনকে আটক করা হয়।প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে ভৈরব র‍্যাব ক্যাম্পের বিপরীত পাশে লোকাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মানিক মিয়ার হার্ডওয়্যার দোকানের কর্মচারী কমলপুর মধ্যপাড়া এলাকার ওমর মিয়া ও আজিবরের মধ্যে ফেসবুকে হা হা রিয়্যাক্ট দেওয়া নিয়ে তর্কবিতর্ক হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উভয়জনকে মিলিয়ে দেন দোকান মালিক মানিক মিয়া।

এ ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই দুইপক্ষের লোকজন দা, বল্লম, লাঠিসোঠা, ইট পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে তারা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে কমলপুর মধ্যপাড়ার সংঘর্ষকারীরা পূর্বপাড়ার প্রায় ১০টি দোকানে ঢুকে ভাঙচুর করে। এসময় স্থানীয় বাসিন্দা উজ্জ্বল মিয়াসহ ৮ জন আহত হয়েছেন।ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার বাচ্চু মিয়া ও রিপন মিয়া বলেন, আমাদের কি অপরাধ।

আমরা দোকান বন্ধ করে মসজিদে তারাবির নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম। এসে দেখি আমাদের দোকানের শাটারগুলো ভাঙা। প্রতিটি দোকানেরই একই অবস্থা। এরা সবাই কিশোরগ্যাংয়ের সদস্য। আমি ঘটনার বিচার দাবি করছি।স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী সোহাগ বলেন, একটি সামান্য ঘটনায় দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি।

এই রোজা রমজানের মধ্যে এমন ঘটনা সত্যিই অপ্রত্যাশিত।ভৈরব থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা সংবাদ শুনেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এ ঘটনায় থানা পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করেছে। র‍্যাব সদস্যরা ৫/৬ জনকে আটক করেছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।এছাড়া অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।