8 March 2024 , 10:23:44 প্রিন্ট সংস্করণ
দেশি-বিদেশি জাল টাকা ছাপিয়ে তা বিক্রি করতে অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেওয়া হতো। রাজধানীতে বসেই এই কাজ করছিল একটি চক্র। রোজার ঈদকে সামনে রেখে জাল টাকা কারবারিদের ধরতে রূপনগর এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব৷
এসময় এই চক্রের মূলহোতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।বুধবার রাতে এই অভিযান চালানোর পর বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোসতাক আহমেদ।
র্যাব জানিয়েছে, রূপনগরের ইস্টার্ন হাউজিং এলাকা থেকে জাল টাকা প্রস্তুতকারী চক্রের মূলহোতা পারভেজ হোসাইনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় জালনোট তৈরিতে ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি জালনোট উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন- পারভেজ হোসেন, রুবেল ইসলাম ওরফে হৃদয়, নুর আলম ওরফে সাগর, মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে মোস্তাকিম।লে. কর্নেল মোসতাক আহমেদ বলেন, জাল টাকা তৈরির সঙ্গে বেশ কয়েকটি চক্র জড়িত আছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়।
দেশের অর্থনীতির চাকাকে অচল করতে এবং সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে বেশি মুনাফার লোভে জাল টাকা তৈরি ও বাজারজাত করার সংঘবদ্ধ কিছু চক্র সক্রিয় হয়ে পড়েছে।
চক্রগুলো জাল টাকা তৈরি করে নির্দিষ্ট কয়েকজন সদস্য দিয়ে আসল টাকার ভেতর জাল টাকা মিলিয়ে দিয়ে সহজ সরল মানুষকে নিঃস্ব করে দিচ্ছে।র্যাব-১ অধিনায়ক বলেন, বৃহস্পতিবার ভোররাতের দিকে র্যাবের একটি আভিযানিক দল গোপন সূত্রের মাধ্যমে জানতে পারে রূপনগর থানা এলাকায় একটি বাসায় জাল টাকা তৈরি করে আসছে।
দলটি জালনোট তৈরি ও ব্যবসায়ী চক্রের মূলহোতাদের গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে প্রায় আড়াই লাখ সমমূল্যমানের জালনোট, মালয়েশিয়ার রিংগিত, ওমান রিয়াল, সৌদিআরব রিয়াল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের দিরহাম নোট উদ্ধার করা হয়।
এই কাজে ব্যবহৃত একটি প্রিন্টার, ল্যাপটপ, কেমিক্যালসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।তাদের কাজের ধরন সম্পর্কে র্যাব-১ এর অধিনায়ক বলেন, পারভেজ জালনোট ছাপানো চক্রের মূলহোতা।
সেই মূলত বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইন মাধ্যমে জাল টাকা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিল। এসব পেজ প্রমোট ও বুস্টিং করে অনেক পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা সংগ্রহ করে।
যারা আসন্ন মাহে রমজান ও পবিত্র ঈদুল ফিতরকে টার্গেট করে জালনোটের ব্যবসা করছিল। তারা প্রতি ১ লাখ টাকা মূল্যমানের জাল নোট ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করত।
ঈদ উপলক্ষে জালনোটের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে তারা প্রতি ১ লাখ টাকার জাল নোট ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।