বাণিজ্য

পাটগ্রামে রসুনের কেজি ২৮০ পেঁয়াজ ১১০

ভরা মৌসুমেও লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে রসুন অপরদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা কমে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। ভরা মৌসুমে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য রসুন, পেঁয়াজ চরা দামে বিক্রি হওয়ায় বিপাকে পরেছে ক্রেতারা। রমজান মাস সামনে রেখে রসুন পেঁয়াজের দাম না কমায় আরও দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিক্রেতারা।

মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বুড়িমারী বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে রসুন, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা দরে। গ্ৰামের দোকানগুলোতে রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৯০-৩০০ টাকায়, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়।ড়িমারী বাজারের ক্রেতা মোজাম্মেল হক জানান, সারাদিন মজুরি করে ৪০০ টাকা পাই, চাল, ডাল, তেল কিনতেই সারাদিনের মজুরি শেষ। ৫০০ গ্ৰাম রসুন কিনেছি ১৪০ টাকায়।

এভাবে চলতে থাকলে বাজার করা অসম্ভব হয়ে যাবে। দাম কমলে ভালো হতো।বুড়িমারী বাজারের বিক্রেতা টিপু মিয়া বলেন, বুড়িমারী স্থলবন্দর হয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি না হওয়ায় বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। ফলে পেঁয়াজের দাম স্থানীয় বাজারে কমার সম্ভাবনা নেই। বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বিক্রি হচ্ছে দেশী পেঁয়াজ।

অপরদিকে রমজান মাসে বাড়তি দামেই বিক্রি হতে পারে আদা।পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল ইসলাম জানান, রমজান মাস সামনে রেখে উপজেলার বাজার গুলোতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা অব্যাহত রয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কেউ বেশি দামে বিক্রি করলে ভ্র্যাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে।

%d bloggers like this: