ভিন্ন স্বাদের খবর

এবার জনপ্রিয় হয়েচ্ছে পোকার বার্গার

খাবার হিসেবে কোন দেশের মানুষ পোকা-মাকড় খায়, এমন প্রশ্ন করা হলে এক বাক্যে উত্তর আসবে চীন, জাপান কিংবা কোরিয়ার নাম। তবে বিশ্বাস করতে কষ্ট হলেও খাবার হিসেবে সৌদি আরবে পোকা-মাকড়ের কদর বাড়ছে। দিন যত সামনে এগোচ্ছে সৌদিদের মাঝে এ ধরনের খাবারের চাহিদা ততই বাড়ছে। প্রতিদিনই পোকা-মাকড়ের নতুন নতুন পদ নিয়ে আসছেন সৌদিরা। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছেন হরেক রকমের রন্ধন কৌশল।

বর্তমানে মরুর দেশে পোকা-মাকড়ের মৌসুম হওয়ায় মানুষের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা আরো বেড়েছে।অনুকূল আবহাওয়ার কারণে সৌদি আরবের বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর পরিমাণে পোকা-মাকড় জন্মে। অবশ্য সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় মদিনা ও কাসিমের মতো অঞ্চলে। এই দুই অঞ্চলে পোকা যেমন সুস্বাদু তেমনি সহজলভ্য। তবে এত জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও সৌদি আরবে এখনো পোকামাকড়ভিত্তিক খাবারের জন্য আলাদা কোনো রেস্তোরাঁ নেই।

দুবাইভিত্তিক এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সৌদিদের মাঝে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো পোকার বার্গার। মাত্র সাড়ে সাত রিয়ালে পাওয়া যায় এই বার্গার। সুস্বাদু এই বার্গারে পোকা ও বান রুটি ছাড়াও থাকে পেঁয়াজ, কেচাপ।সৌদি আরবে পোকা-মাকড়ের খাবার জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা পালন করছে সামাজিকমাধ্যম। সেখানে পোকাপ্রেমীরা প্রায় সময়ই পোকা-মাকড় শিকার ও কেনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। কীভাবে রান্না করলে বেশি স্বাদ পাওয়া যাবে, এমন নানা কৌশল জানিয়েছে ভিডিও পোস্ট করেন।

ফলে সৌদি সামাজিকমাধ্যমে বর্তমানে এই ধরনের খাবার ট্রেন্ডিংয়ে পরিণত হয়েছে।অনেক বিখ্যাত সামাজিকমাধ্যম এই ধরনের খাবার থেকে মানুষকে উৎসাহিত করে চলেছেন। তাদের একজন হলেন ইয়াদ আল হামুদ। তিনি এক্সে বেশ জনপ্রিয়। বিদেশ থেকে আমদানি করা পোকা-মাকড়ের চেয়ে দেশীয় পোকা-মাকড়ের খাবার খেতে তিনি মানুষকে উৎসাহিত করেন। দেশীয় পোকা-মাকড় যেমন দামে সস্তা তেমনি সুস্বাদুও বটে। আরেকজন কনটেন্ট নির্মাতা হলেন মেশাল আল গারিব। তিনি পোকা-মাকড় বিক্রির ওপর বিভিন্ন ভিডিও তৈরি করে থাকেন।

ভিডিওতে তিনি কীটনাশকহীন ও প্রাকৃতিক উপায়ে সৌদি পোকা-মাকড় সংগ্রহের ওপর জোর দেন। তবে সৌদি সমাজের সবাই পোকা-মাকড় খায়, বিষয়টি মোটেও এমন নয়। এ নিয়ে সেখানে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। সমাজ হয়ে গেছে দুভাগে বিভক্ত। কেউ কেউ বিষয়টিকে ব্যক্তিগত পছন্দ বা পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য হিসেবে দেখে থাকেন। অন্যরা এর সঙ্গে দারিদ্র্যকে সম্পৃক্ত করেন। তারা বলেন, সৌদি আরবে এই ধরনের খাবারের কোনো প্রয়োজন নেই।

%d bloggers like this: