সারা দেশ

ল কলেজে ছাত্রলীগের হামলা অধ্যক্ষ-শিক্ষার্থীসহ আহত ৬ জন

বরিশাল ল কলেজে ছাত্রলীগের কর্মীরা কলেজ কমিটির সভাপতি, অধ্যক্ষকে মারধর-লাঞ্ছিত করেছে। এ সময় তারা সাব্কে মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ অনুসারীদের মারধর করেছে বলে জানা যায়। এছাড়া হামলাকারীরা কলেজ কমিটির সভাপতি, অধ্যক্ষ, শিক্ষকসহ ছয় শিক্ষার্থীকে মারধর ও লাঞ্ছিত করে। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নগরীর হাসপাতাল রোডে অবস্থিত ল কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পরপরই মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুল হক বলেছেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সেখানকার পরিস্থিতি এখন শান্ত। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ঘটনার পরপরই ক্যাম্পাসে উপস্থিত হন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর, সাবেক প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল ইসলাম লিটুসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।ল কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, সন্ধ্যায় ছাত্রলীগ নামধারী ৩০/৪০ জনের একটি দল ক্যাম্পাসে ঢুকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছিল। তারা কলেজের ক্লাসে অধ্যাপক জসিম উদ্দিনকে লাঞ্ছিত করে।

শ্রেণিকক্ষে তিনজন শিক্ষার্থীকে মারধর করে জখম করে। আমি ঘটনা শান্ত করতে গেলে আমার জামার কলার ধরে নিয়ে মারধর করে। এমনকি কলেজ অধ্যক্ষ মোস্তফা জামাল খোকনকেও মারধর করে।আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি জানতাম আরিফ হোসেন অপু, আজিম হোসেনের নেতৃত্বে হামলা হয়। ওরা ছাত্রদল নেতা। কিন্তু এখন জানলাম তারা নাকি ছাত্রলীগ করে। হামলাকারীরা গালি দিতে দিতে বলছিল ‘কলেজ কমিটির সবাই সাদিক অনুসারী। তার কথায় কলেজ চলে।

আজ থেকে আর সাদিকের কথায় কলেজ চলবে না। সাদিকের কোনো লোক এই এলাকায় থাকতে পারবে না।অধ্যক্ষ মোস্তফা জামাল খোকন বলেন, ক্লাস থেকে অধ্যাপক জসিম উদ্দিনকে ক্লাস থেকে বের করে মারধর করা হয়েছে। শিক্ষার্থী তিনজনের মধ্যে দুইজন মারাত্মক আহত হয়েছে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।টনাস্থলে পৌঁছে সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, ঘটনাটি প্রশাসনকে জানিয়েছি। মহানগর আওয়ামী লীগ এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

আরও খবর

Sponsered content

%d bloggers like this: