কৃষি বার্তা

বাংলাদেশ কাশ্মীরি আপেলের সম্ভাবনাময় বাজার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে

বাংলাদেশ কাশ্মীরি আপেলের সম্ভাবনাময় বাজার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে

গেল কয়েক মাস ধরে উত্তর কাশ্মীরের সোপোরে ক্যাম্প স্থাপন করে কাশ্মিরে অবস্থান করছেন মইন উদ্দিন নামের এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী। প্রতিদিন মইন উদ্দিন দুই ট্রাকেরও বেশি আপেল তার নিজ দেশে রপ্তানি করেন, বাংলাদেশে কাশ্মীরি আপেলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। তার সাথে আরো কয়েকজন বাংলাদেশী ডিলার যোগ দিয়েছেন যারা বাংলাদেশে কাশ্মীরি আপেলের চাহিদা মেটাতে উপত্যকায় অবস্থান করছেন। খবর ‘‘কাশ্মির নিউজ অবজারভারের’’। বাংলাদেশী আপেল ব্যবসায়ীরা জানান “আমরা প্রায় এক দশক ধরে কাশ্মীরে আপেল ব্যবসার সাথে যুক্ত।

মইন উদ্দিন বলেন আমরা বেশিরভাগই আমেরিকান জাতের আপেল আমাদের দেশে রপ্তানি করি বাংলাদেশে এই জাতের চাহিদা রয়েছে প্রচুর”।সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে কাশ্মীরি আপেলের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, ফলে এটি একটি সম্ভাবনাময় বাজার হয়ে উঠেছে।উত্তর কাশ্মীর আপেল গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফায়াজ আহমেদ মালিক কাশ্মীর নিউজ অবজারভারকে জানিয়েছেন গড়ে ২৫-৩০ ট্রাক কাশ্মীরি আপেল সোপোর ফ্রুট মন্ডি থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

পিক সিজনে প্রায় ৩০ ট্রাক আপেল বাংলাদেশে যায়। বাংলাদেশের ডিলাররা আমেরিকান জাতের আপেল কেনেন যার প্রচুর চাহিদা রয়েছে।মালিক আরো বলেন, উত্তর কাশ্মীর থেকে উৎপাদিত মোট আপেলের প্রায় ২০ শতাংশই বছরে বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে।এই আপেলগুলি পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। প্রতি বছর ডিলারের সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে আমরা নিশ্চিত যে আগামী বছরগুলিতে বাংলাদেশ হবে কাশ্মীরের আপেলের শীর্ষ আমদানী কারক। বাংলাদেশ সরকার শুল্ক আরোপ করায় কাশ্মিরের রপ্তানী কারকরা এটিকে একটি বড় বাধা হিসেবে দেখছেন।

ফায়াজ আহমেদ মালিক বলেন “বর্তমানে, আমরা রপ্তানি শুল্ক হিসাবে প্রতি কেজি আপেলের জন্য ৯৫ টাকা দিচ্ছি। আপেল বোঝাই প্রতি ট্রাকে এর পরিমাণ ২২লাখ টাকা। বাংলাদেশ সরকার রপ্তানি শুল্ক আরোপ না করলে কাশ্মীরি ব্যবসায়ীরা ভালো লাভবান হবেন ।ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে, কাশ্মীর থেকে রপ্তানিকারকরা সক্রিয়ভাবে বাংলাদেশী পরিবেশক এবং খুচরা বিক্রেতাদের সাথে একটি নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ চেইন প্রতিষ্ঠার জন্য সহযোগিতা করছে।

ই অংশীদারিত্ব শুধুমাত্র কাশ্মীরের আপেল চাষীদেরই উপকার করেনি বরং দুই অঞ্চলের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার নতুন পথও খুলে দিয়েছে। “সোপুর ফল মান্ডি আমেরিকান জাতের আপেলের জন্য একটি সম্ভাব্য বাজার হয়ে উঠেছে। অন্যান্য জেলার চাষীরাও এই আপেলের জাতটি এখানে সোপোর মন্ডিতে বিক্রি করতে পছন্দ করেন কারণ বাংলাদেশী ডিলাররা ভাল দাম দেয়,” বলেছেন গুলাম মোহাম্মদ ভাট, একজন চাষী যিনি তার আপেল বিক্রি করার জন্য বাংলাদেশী ডিলারদের সাথে নিজেকে যুক্ত করেছেন।