5 December 2024 , 2:06:43 প্রিন্ট সংস্করণ
কুষ্টিয়ায় শীতকালীন সবজি চাষে কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। সবজি চাষ করে তারা হচ্ছেন আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সবজি বাজারে সরবরাহ করছেন তারা। চাহিদা অনুযায়ী বর্তমান বাজার দর পেলে আগামীতেও বাড়বে সবজি চাষ এমনটি জানিয়েছেন কৃষকরা।
কুষ্টিয়ায় চলতি মৌসুমে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরণের শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে। বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে এখন ফুলকপি, সিম, বেগুন, পটল, মুলা, আলু, লাউ ও মরিচসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির সমারোহ। সবজি ক্ষেতের পরিচর্যার পাশাপাশি বাজারজাতকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। এবছর অতিবৃষ্টির কারণে আগাম শীতকালীন সবজির কিছুটা ক্ষতি হলেও বর্তমান বাজারদর সন্তোষজনক হওয়ায় উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে দ্বিগুন বা তারও বেশী লাভর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
দৌলতপুর উপজেলার বাজুডাঙ্গা গ্রামের কৃষক রেজাউল ইসলাম জানান, সে এবছর একবিঘা জমিতে শীতকালীন সিম চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছেন। এবছর সবজির ফসলের দাম ভাল রয়েছে বলে কৃষকদের উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে দ্বিগুনেরও বেশী লাভ হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
কৃষক নাসির উদ্দিন জানান, এবছর শীতকালীন ফুলকপি ও বেগুন চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছেন তিনি। সবজি চাষে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে আমারমত সব কৃষকরাই এবছর লাভের মুখ দেখছে। তবে অতিবৃষ্টির কারনে এবছর শীতকালীন সবজিচাষ কিছুটা বাঁধাগ্রস্থ হয়েছে। তারপরও সবজি চাষে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।
সবজির উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষি বিভাগ তদারকি ও পরামর্শসহ সবধরণের সহযোগিতা দিয়ে থাকেন কৃষকদের বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক সুফী মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান। কৃষকদের সবজি চাষে উৎসাহ ও প্রণোদনা দিলে একদিকে সবজির চাহিদা মিটবে অপরদিকে অর্থকরী ফসল সবজি চাষ করে তারা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হবেন। পাশাপাশি ভোক্তারাও সবজির চাহিদা মিটাবেন সাশ্রয়ী মূল্যে।