রাজনীতি

প্রথমে ডামি প্রার্থী তারপর ডামি ভোটার শেষে ডামি অবজার্ভার

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আগ পর্যন্ত তার দল রাজপথে থাকবে।প্রায় দুই মাস পর সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল ও পরশু বিএনপি গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করবে। এরপর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

মঈন খান বলেন, প্রথমে ছিল ডামি প্রার্থী, তারপর হলো ডামি ভোটার এবং সর্বশেষ সরকার যেটা করল ডামি অবজার্ভার। জনগণ কাল ভোট বর্জন করে এই বার্তা স্পষ্ট করে দিয়েছে, বর্তমান সরকার, বর্তমান নির্বাচন কমিশন ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন—সবই ভুয়া।তিনি বলেন, গতকাল ওয়াশিংটন পোস্ট এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে লেখা হয়েছে, তাদেরই আনা একজন অবজার্ভার বলেছেন, বাংলাদেশের যে নির্বাচনী প্রক্রিয়া, তার মাধ্যমে বাংলাদেশ উত্তর কোরিয়ান সিস্টেমের দিকে এগোচ্ছে।

ডামি অবজার্ভারদের মধ্যে একজন সত্য কথা না বলে পারেননি।এ সরকারের অধীনের কোনো নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারে না মন্তব্য করে মঈন খান বলেন, ‘একজন বিদেশি সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আমি বলেছিলাম, আজকে আওয়ামী লীগ সরকার যদি আমাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে দেয়, আমিও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারব না।

কারণ এটা একটা সিস্টেম। সব নিয়ন্ত্রণ নির্বাহী শাখার হাতে চলে গেছে।সেই কারণে এখানে নিরপেক্ষ, নির্দলীয় একটি সরকার গঠন করতে হবে। তাদের মাধ্যমে এ দেশের একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে। গতকালের ঘটনা প্রবাহ প্রমাণ করে দিয়েছে আমাদের এই বক্তব্য সঠিক।এ সময় দলের পক্ষ থেকে সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায় সরকার গঠন ও তার অধীনে নতুন করে নির্বাচন দাবি করেন মঈন খান।

গতকাল কোনো নির্বাচন নয়, ক্ষমতাসীন দলের সাজানো নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।তিনি আরও বলেন, এ কথা হয়তো বলা যায়, বাংলাদেশের মানুষ হিউমারপ্রিয়, চিন্তা-ভাবনা করছে নতুনভাবে যে সরকার গঠন করবে এই ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা কি এভাবে বলতে পারি—এ গভর্নমেন্ট অব দ্য ডামি, বাই দ্য ডামি, ফর দ্য ডামি?

মঈন খান বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তাদের নৈতিক শক্তিতে বলীয়ান হয়ে বর্তমান স্বৈরাচারী অবস্থান পরিবর্তন ঘটাবে।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা রাজপথে নেমেছি জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য, সেই আন্দোলনে আমরা রাজপথে ছিলাম, আমরা রাজপথে আছি এবং আগামীতে আমরা রাজপথে থাকব—যতদিন জনগণের সত্যিকারের অধিকার আমরা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারি।

এটাই বিএনপির প্রতিজ্ঞা।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আগামীকাল ও পরশু আমরা গনসংযোগ করব। তারপর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করব।

%d bloggers like this: