খেলাধুলা

বার্সেলোনার জয় কঠিন লড়াইয়ে

বার্সেলোনার জয় কঠিন লড়াইয়ে

শক্তিশালী বার্সেলোনার বিপক্ষে উজ্জ্বীবিত পারফরম্যান্সে ঘুরে দাঁড়ায় স্প্যানিশ ফুটবলের চতুর্থ সারির দল বার্বাস্ত্রো। দুই দফায় ব্যবধান কমিয়ে অবিশ্বাস্য কিছুর ইঙ্গিতও দেয় তারা। শেষ পর্যন্‌ত অবশ্য তেমন কিছু হতে দেয়নি শাভি এর্নান্দেসের দল। প্রতিপক্ষের মাঠে রোববার রাতে ৩-২ গোলে জিতে কোপা দেল রের শেষ ষোলোয় উঠেছে বার্সেলোনা।

ফেরমিন লোপেস সফরকারীদের এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান রাফিনিয়া। এর কিছুক্ষণ পরই একটি গোল শোধ করেন আদ্রিয়া দে মেসা। বার্সেলোনার তৃতীয় গোলটি করেন রবের্ত লেভানদোভস্কি। শেষ সময়ে মার্ক প্রাত আরেক দফা ব্যবধান কমালেও প্রতিযোগিতার সফলতম দলকে আটকাতে পারেনি তারা।

লেভানদোভস্কি, ইলকাই গিনদোয়ানসহ নিয়মিত খেলোয়াড়দের বেশ কয়েকজনকে ছাড়াই শুরুর একাদশ সাজান কোচ শাভি। তবে তাদের খেলার ধরনে কোনো পরিবর্তন আসেনি।শক্তি-সামর্থ্যে বিস্তর পিছিয়ে থাকা প্রতিপক্ষের ওপর শুরু থেকেই প্রবল চাপ তৈরি করে বার্সেলোনা। গোল পেতেও খুব একটা দেরি হয়নি তাদের। অষ্টাদশ মিনিটে ডি-বক্সের মধ্যে থেকে বাঁ পায়ের শটে গোলটি করেন তরুণ মিডফিল্ডার লোপেস।

বার্সেলোনার ‘বি’ দল থেকে এই মৌসুমেই মূল দলে উঠে আসা ২০ বছর বয়সী এই স্প্যানিয়ার্ড কোপা দেল রেতে প্রথম জালের দেখা পেলেন। আর কাতালান ক্লাবটির হয়ে তার গোল হলো ২টি।প্রথমার্ধের বাকি সময়েও একইরকম আক্রমণাত্মক ফুটবলে প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করে রাখে বার্সেলোনা। গোলের জন্য ১৫টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখতে পারে ৬টি, তারপরও বিরতির আগে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি তারা।

দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রাফিনিয়া। এক্তরের ক্রস পেয়ে ছয় গজ বক্সের ডান দিক থেকে গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।প্রথমার্ধে গোলের উদ্দেশে মাত্র একটি শট নিতে পারা বার্বাস্ত্রো এই অর্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। ৬০তম মিনিটে গোলও পেয়ে যায় তারা। কাছ থেকে বল জালে পাঠিয়ে লড়াই জমিয়ে তোলার আভাস দেন দে মেসা।

জোয়াও ফেলিক্সের বদলি নেমে লেভানদোভস্কি ৮৮তম মিনিটে পেনাল্টি গোলে ব্যবধান বাড়ান। বার্সেলোনার জয়ের সম্ভাবনাও তাতে জোরাল হয়। ডি-বক্সে বার্বাস্ত্রোর মিডফিল্ডার হাভিতোর হাতে বল লাগলে পেনাল্টিটি পায় বার্সেলোনা।বার্বাস্ত্রো এরপরও লড়াই জিইয়ে রাখে। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে দলটির মিডফিল্ডার আন্তোনিও ক্রেসপো বার্সেলোনার ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে তারাও একটি পেনাল্টি পায়।

মার্ক প্রাতের সফল স্পট কিকে শেষ সময়ের নতুন নাটকীয়তার আভাস মেলে।তবে বাকিটা সময় এক গোলের ব্যবধান ধরে রেখে পরের ধাপের ওঠার স্বস্তিতে মাঠ ছাড়ে কাতালান প্রতিযোগিতার রেকর্ড চ্যাম্পিয়নরা।