রাজনীতি

বাংলাদেশের নির্বাচন ঠেকানোর শক্তি কারও নেই বললেন কাদের

বাংলাদেশের নির্বাচন ঠেকানোর শক্তি কারও নেই বললেন কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিদেশী শক্তি আমাদেরকে পরামর্শ দিলে গ্রহণ করব।কিন্তু আমাদের নির্বাচনের ক্ষতি হয় এমন শক্তিকে উসকানি দিলে এটা মেনে নেব না। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল যা করছে, আজকে বাংলাদেশে বিএনপি তাই করছে। বাংলাদেশের নির্বাচন ঠেকানোর শক্তি কারও নেই।

রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৫ এর কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ও জনতা বাজারে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে রবিবার সকাল ১০টায় মা-বাবার কবর জিয়ারত করে গণসংযোগ শুরু করেন ওবায়দুল কাদের। এদিন সকালে বসুরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন তিনি।

পরে চর কাঁকড়া ইউনিয়নের সিদ্দিকিয়া বাজারে গণসংযোগ দিয়ে আজকের প্রচারণা শুরু করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।পথসভায় ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আজকে বিএনপি আমাদের দেশে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নির্বাচন বন্ধ করতে লাশ ফেলার রাজনীতি করতে চায়। তারা ৭৫-এ ক্লু করেছে,৭৫-এ খুন করেছে মোস্তাক জিয়া। জেল খানায় জাতীয় চার নেতাদের হত্যা করেছে। তারেক জিয়া, খালেদা জিয়া ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে গ্রেনেড হামলা করেছে।

তারেক জিয়ার দেশে আশার সাহস নেই।’নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। কোনো প্রার্থী বা কোনো একজন নামী নেতাকে তারেক জিয়া লন্ডন থেকে মারার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। আপনারা এটা প্রতিরোধ করবেন।তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ ৭১ সালকে ভয় পায়নি। এবারও যত বাধা আসুক ভয় পাবে না।’ এ সময় আগামী ৭ জানুয়ারি ফাইনাল খেলা হবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।

পথসভায় কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মো. ইব্রাহীম, কবিরহাট পৌরসভার মেয়র জহিরুল হক রায়হান, ফেনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাযারী, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহীদ উল্যাহ খান সোহেল, নোয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু, কবিব হাট উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুন্নাহার শিউলি ও দাগুন ভুঁইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল আলম রতন, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নুরুল আমিন রুমি প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।